সীতাকুণ্ডে নৌকার নির্বাচনী ক্যাম্পে ছাত্রলীগ নেতাকে কোপানোর অভিযোগ

সন্ত্রাসী হামলায় আহত সীতাকুণ্ডে উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি রিপন মাহমুদছবি সংগৃহীত।

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি রিপন মাহমুদকে (২৮) কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের দোয়াজীপাড়া রাস্তার মাথা এলাকায় নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় মারধর করা হয় আরেক সহসভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চনকে (২৫)।

রিপন মাহমুদ বর্তমানে চট্টগ্রাম নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ছাত্রলীগ নেতা ইলিয়াস কাঞ্চন মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল দুপুরে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রেহান উদ্দিনের বাবার জানাজা শেষে তিনি ও রিপন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দিকে ফিরছিলেন। নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী ক্যাম্পের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় ভেতর থেকে আবদুল মোমেন নামের এক যুবক তাঁকে ডাকেন। কাছে যেতেই তাঁকে থাপ্পড় মারতে থাকেন মোমেন। তাঁর সঙ্গে থাকা অন্যরা রিপন মাহমুদকে মারতে শুরু করেন। কোনোমতে তাঁদের হাত থেকে তিনি পালিয়ে মহাসড়কে উঠে একটি গাড়িতে করে সীতাকুণ্ড সদরে চলে যান। পরে খবর পান, রিপনকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। তাঁর মাথায় ১০টি সেলাই পড়েছে। এরপর তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ ঘটনায় চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক প্রতিবাদলিপিতে ছাত্রলীগ নেতার ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ এবং হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়েছে। একইভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছে উপজেলা ছাত্রলীগও।

অভিযোগ অস্বীকার করে নিজেকে মুরাদপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য দাবি করে আবদুল মোমেন বলেন, তিনি আহত অবস্থায় রিপন মাহমুদকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কারা রিপন মাহমুদকে মেরেছে, তা তিনি জানেন না। তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।

তবে ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নূর সুলেমান প্রথম আলোকে বলেন, আবদুল মোমেন যুবলীগের কেউ নন। তিনি একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।

এ ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার রিপন মাহমুদের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে সুনির্দিষ্ট সাত জনসহ ১৩ জনকে আসামি করে সীতাকুণ্ড থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় আব্দুল মোমেনকে প্রধান আসামি করা হয়। তবে এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।

জানতে চাইলে সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দিন বলেন, তাঁরা জানতে পেরেছেন ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সমস্যা এটি। এক পক্ষের হামলায় ছাত্রলীগের এক নেতা আহত হয়েছেন। তাঁরা বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা করবেন।