যশোরে আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে প্রবাসীর জমি দখলচেষ্টার অভিযোগ
যশোর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আরবপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলাম ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে এক প্রবাসীর ৩৫ শতক জমি দখলে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
আজ বুধবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোর মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন কানাডাপ্রবাসী এ বি জাকারিয়া মোহাম্মদ। তবে ওই প্রবাসীর জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আওয়ামী লীগের নেতা শাহারুল ইসলাম।
জাকারিয়া মোহাম্মদ যশোর শহরের ধর্মতলা এলাকার বাসিন্দা। তাঁর পরিবারের সদস্যরা ঢাকায় বসবাস করেন।
আজ দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে জাকারিয়া মোহাম্মদ বলেন, শহরের কারবালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিপরীতে অবস্থিত ২০ কোটি টাকা মূল্যের বাড়ির সীমানাপ্রাচীর ভেঙে বালু ও মাটি ফেলেছেন অবৈধ দখলদারেরা। তাঁদের মদদ দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতা শাহারুল ইসলাম। শাহারুলের সঙ্গে স্থানীয় বখতিয়ারসহ কয়েকজন তাঁদের জমি দখলের চেষ্টা করছেন। এখন তাঁরা তাঁকে একতলা বাড়িটি ভেঙে দেওয়ার এবং প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন। এ অবস্থায় নিরাপত্তার পাশাপাশি জমির দখল অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে এ বি জাকারিয়া আরও জানান, তাঁর বাবা ১৯৬৪ সালে আবদুল জব্বার গাজীর কাছ থেকে ৩৫ শতক জমি (২৫৯ দাগ) কেনেন। সেই থেকে ওই জমির সব রেকর্ড তাঁদের নামে। ওই জমিতে সোনালী ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে একতলা বাড়ি নির্মাণ করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে তিনি কানাডা ও পরিবারের সদস্যরা ঢাকায় অবস্থান করছেন। যে কারণ বাড়িটি ভাড়া দেওয়া হয়। সেখানে একটি প্রি-ক্যাডেট স্কুল পরিচালিত হয়। ২০২২ সালের শেষ দিকে জনৈক বখতিয়ার ও আওয়ামী লীগ নেতা শাহারুল ইসলাম ভুয়া দলিল তৈরি করে ভূমি জরিপ ট্রাইব্যুনালে মামলা করে একতরফা রায় নেন। বিষয়টি জানার পর তাঁরা উচ্চ আদালতে রায়ের বিরুদ্ধে রিট করেন। এরপর ওই আদালত থেকে রায়ের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে বিশেষ ভূমি জরিপ ট্রাইব্যুনালকে বিষয়টি পুনরায় দেখার জন্য আদেশ দেন উচ্চ আদালত। এ পরিস্থিতির মধ্যেও বখতিয়ার ও শাহারুলেরা জোর করে তাঁদের বাড়ির সীমানাপ্রাচীর ভেঙে মাটি ও বালু দিয়ে ভরাট করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহারুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, ‘আমি ওই জমি কিনিনি। আমি দখলচেষ্টার সঙ্গে জড়িতও নই। তবে আমি ওই জমির কাগজপত্র দেখেছি। তাতে জমির প্রকৃত মালিক বখতিয়ারেরা। আদালতের রায়ও তাদের পক্ষে। মাটি ফেলে ওই জমি ভরাটের দিনে পুলিশও উপস্থিত ছিল। বখতিয়ার আমার পরিচিত মানুষ। এ জন্য হয়তো কোনো পক্ষ আমার নাম দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।’