কুকুরের সঙ্গে শিকলে বেঁধে রিকশাচালককে নির্যাতনের ঘটনায় একজন গ্রেপ্তার
ঢাকার সাভারে পাওনা টাকার জন্য মারধরের পর এক রিকশাচালককে কুকুরের সঙ্গে একই শেকল দিয়ে বেঁধে রাখার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মামুন ওরফে সুকান্ত দাশের (৩৪) গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার কালিয়াইশ এলাকায়। তিনি সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের ভরাড়ী এলাকায় হাফিজ উদ্দিন নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ভাড়া থেকে ভাঙারির ব্যবসা করতেন।
সাভার মডেল থানা সূত্রে জানা যায়, ৭ মে মামুন পাওনা ৮০০ টাকার জন্য রিকশাচালক রবিউল ইসলামকে মারধর করেন। পরে তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের ভরাড়ী এলাকায় মামুনের ভাঙারির দোকানের খুঁটির সঙ্গে লোহার শেকল পেঁচিয়ে একপ্রান্তে কুকুর ও অপর প্রান্তে রবিউলকে বেঁধে রাখা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রবিউলকে উদ্ধার করে। এর আগেই পালিয়ে যান মামুন। এ ঘটনায় রবিউল বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় মামলা করেন।
পুলিশ জানায়, ঘটনার পর থেকে মামুন মুঠোফোনের সিম পরিবর্তন করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গতকাল রাতে হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাজিব কুমার সাহা প্রথম আলোকে বলেন, রিকশাচালককে মারধর ও কুকুরের সঙ্গে শেকল দিয়ে বেঁধে রাখার ঘটনায় করা মামলার আসামি মামুন ওরফে সুকান্ত দাশকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার তাঁকে আদালতে পাঠানো হবে।