কক্সবাজারে প্যারাসেইলিং থেকে ছিটকে ঝাউগাছে আটকে ছিলেন পর্যটক

কক্সবাজারে প্যারাসেইলিং আটকে ঝাউ গাছের সঙ্গে ঝুলে ছিলেন এক পর্যটকছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের দরিয়ানগর এলাকায় প্যারাসেইলিং থেকে ছিটকে পড়ে এক পর্যটক ঝাউগাছের সঙ্গে ঝুলে ছিলেন। পরে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। গত ৩০ আগস্ট দুপুরে দরিয়ানগর সৈকতের ‘স্যাটেলাইট ভিশন সি স্পোর্টস’ পরিচালিত প্যারাসেইলিং রাইডে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। ঝাউগাছে আটকে পড়া পর্যটকের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ ঘটনায় তিনি আঘাত পাননি বলে জানা গেছে। দুর্ঘটনার পরদিন থেকে সৈকতের সব ধরনের প্যারাসেইলিং কার্যক্রম বন্ধ রাখে জেলা প্রশাসন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও দরিয়ানগরের বাসিন্দা নুরুল আমিন (৩৪) জানান, শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে একজন যুবক (পর্যটক) প্যারাসেইলিংয়ে ওপরে উঠেছিলেন। হঠাৎ প্যারাসেইলিং সমুদ্রের দিক থেকে পূর্ব দিকের ঝাউবাগানের দিকে ভেসে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যে প্যারাসেইলিং ঝাউগাছের ডগায় আটকে যায়। তখন পর্যটকও কিছুক্ষণ ওইভাবে ঝুলে ছিলেন। পরে প্যারাসেইলিং কর্মীরা ঝাউগাছ থেকে পর্যটককে নামিয়ে আনেন। তখন ওই পর্যটকের শরীরে লাইফ জ্যাকেট বাঁধা ছিল।

স্যাটেলাইট ভিশন সি স্পোর্টসের ব্যবস্থাপক নুর মোহাম্মদ বলেন, প্যারাসেইলিং উড়াতে গেলে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। আকাশে ওঠার আগে এ সময় নিয়ম শিখিয়ে দেওয়া হয়। নিচ থেকে হ্যান্ডমাইকেও নির্দেশনা দেওয়া হয়। ওই পর্যটক নির্দেশনা অনুসরণ করতে পারেননি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তিনি প্যারাসেইলিং ঝাউবাগানের ওপর ফেলেছেন। তাতে ওই পর্যটক কিছুক্ষণ গাছে ঝুলে থাকলেও শরীরে আঘাত পাননি।

সৈকত ভ্রমণে আসা কয়েকজন পর্যটক জানান, নিয়ম না মেনে প্যারাসেইলিং পরিচালনার কারণে বহু পর্যটক ছিটকে পড়ে আহত হচ্ছেন। বারবার দুর্ঘটনার কারণে রোমাঞ্চকর প্যারাসেইলিং এখন বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর আগে গত ২০ মে দরিয়ানগর সৈকতে প্যারাসেইলিংয়ের সময় সমুদ্রের পানিতে পড়ে আহত হয়েছিলেন একজন নারী পর্যটক। সে সময় জেলা প্রশাসন প্যারাসেইলিং কার্যক্রম কিছুদিন বন্ধ রাখলেও পরে আবার চালু হয়।

প্যারাসেইলিংসহ ঝাউগাছে পর্যটক আটকে থাকার সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসনের পর্যটন শাখার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আজিম খান বলেন, দুর্ঘটনায় পড়া ওই পর্যটক আঘাত পাননি। ঘটনার পরদিন ৩১ আগস্ট থেকে সৈকতের সব প্যারাসেইলিং কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা অমান্য করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের হিমছড়ি ও দরিয়ানগর সৈকতে ৫টি প্রতিষ্ঠান প্যারাসেইলিং পরিচালনা করে।