হবু বরকে ধর্ষণের ভিডিও পাঠিয়ে বিয়ে পণ্ড, আসামির ৭ বছরের কারাদণ্ড

ধর্ষণ
প্রতীকী ছবি

অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে কিশোরীকে ধর্ষণ করেছিলেন। ভিডিও করে রেখেছিলেন। দুই বছর পর মেয়েটির বিয়ে ঠিক হলে হবু বরের কাছে সেই ভিডিও পাঠিয়ে বিয়ে ভেঙে দেন। একপর্যায়ে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন মেয়েটি। এ ঘটনায় করা মামলায় অভিযুক্তকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন রাজশাহীর সাইবার আদালত।

আজ বুধবার দুপুরে আসামির উপস্থিতিতে রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মো. জিয়াউর রহমান মামলার রায় ঘোষণা করেন। আদালত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আলাদা দুটি ধারায় আসামিকে ৩ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২ লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে ৩ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া অন্য আরেকটি ধারায় ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার ১ লাখ টাকা অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। কারাদণ্ডের সাজা সব একসঙ্গে চলবে বলে রায়ে উল্লেখ করেন আদালত।

রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের সরকারি কৌঁসুলি ইসমত আরা রায়ের বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, দণ্ড পাওয়া ব্যক্তির নাম সিরাজুল ইসলাম ওরফে শিবু (৫৫)। তাঁর বাড়ি পাবনার চাটমোহর উপজেলায়। ২০২০ সালের ২৪ আগস্ট ভুক্তভোগী এক কিশোরীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ধর্ষণ করেন তিনি। এ সময় ভিডিও করে রাখা হয়। পরে সেই ভিডিও ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। এ ছাড়া এসব কথা কাউকে বললে কিশোরীর ছোট ভাইকে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। এতে ভয়ে ওই কিশোরী কারও কাছে মুখ খোলেনি।

ইসমত আরা আরও বলেন, ঘটনার দুই বছর পর ভুক্তভোগী মেয়েটির বিয়ের আয়োজন করে পরিবার। ২০২২ সালের ১২ জুলাই বিয়ের দিন ঠিক ছিল। বিয়ের খবর জানতে পেরে অভিযুক্ত সিরাজুল ধর্ষণের ছবি ও ভিডিও হবু বরের মুঠোফোনে পাঠান। এরপর হবু বর বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান। এরপর ১৪ জুলাই ভুক্তভোগী বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার পর সুস্থ হলে ধর্ষণের ঘটনাটি পরিবারকে খুলে বলেন তিনি। এরপর ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে পাবনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। পরে মামলাটি বিচারের জন্য রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনালে আসে।