কুমিল্লায় নারী শিক্ষার্থীকে চড় মারার ভিডিও ছড়ানো হলো ফেসবুকে

নারী নির্যাতনপ্রতীকী ছবি

কুমিল্লায় বিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থীকে প্রকাশ্যে চড় মারার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এক মাস আগের ওই ঘটনার ভিডিও গতকাল শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলায় এক মাস আগে প্রকাশ্যে চড় মারার ওই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত তরুণের নাম মোহাম্মদ জিহাদ। তিনি কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার বাসিন্দা। তিনি এলাকায় বখাটে হিসেবে পরিচিত।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ১৩ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের পাশের একটি সড়কে ইউনিফর্ম পরা পাঁচজন নারী শিক্ষার্থী। তাদের একজন এক তরুণের সঙ্গে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলছিল। তখন দৌড়ে গিয়ে এক তরুণ ওই নারী শিক্ষার্থীকে চড় মারে। এ সময় ওই তরুণের সঙ্গে থাকা আরেকজন পুরো ঘটনাটির ভিডিও মুঠোফোনে ধারণ করে।

মেয়েটির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ প্রথম আলোকে বলেন, ‘স্কুল আঙিনার বাইরে ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনাটি প্রায় এক মাস আগে ঘটলেও এ নিয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী কাউকে কিছু জানায়নি বা কোনো অভিযোগ করেনি। গতকাল (শুক্রবার) ভিডিওটি আমাদের নজরে আসে। এরই মধ্যে আমরা আজ সকালে বিষয়টি নিয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে বসেছি। দ্রুতই অভিভাবকদের নিয়ে বসে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে।’

ঘটনাস্থলের পাশের একটি দোকানের মালিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘বখাটেরা অনেক বেশি সংঘবদ্ধ। তারা বিভিন্ন সময় মেয়েদের বিরক্ত করে। প্রায় এক মাস আগে আমার দোকানের পাশেই ঘটনাটি ঘটেছে। কতটা অমানুষ হলে নির্যাতনের পর ভিডিওটি ফেসবুকে ছেড়ে দিয়েছে। শুনেছি, ছেলেটির পরিবার এলাকায় প্রভাবশালী, তারা ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।’

এ বিষয়ে অভিযুক্ত জিহাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতেমা তুজ জোহরা প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিষয়টি আমার নজরে আসেনি। আপনার মাধ্যমেই ঘটনাটি জানলাম। এমন ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেওয়ার মতো না। আমি পুরো ঘটনাটি খোঁজ নিয়ে দেখছি। এরপর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, ‘গতকাল বিষয়টি জানতে পেরে ছেলেটির বাবাকে ডেকে আনা হয়েছে। এরই মধ্যে দুই পক্ষকে থানায় আসতে বলা হয়েছে। আমরা মেয়েটি ও তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’