যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যার দায়ে কুমিল্লায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

মৃত্যুদণ্ড
প্রতীকী ছবি

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে এক লাখ টাকা যৌতুকের দাবি পূরণ না করায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন আজ মঙ্গলবার দুপুরে এ রায় দেন। সাজা পাওয়া আসামির নাম আবদুর রব। তিনি নাঙ্গলকোট উপজেলার বামবাতাবাড়ীয়া গ্রামের প্রয়াত আবদুর রহমানের ছেলে।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী সূত্রে জানা যায়, বিয়ের পর থেকেই আবদুর রব তাঁর প্রথম স্ত্রী ঝর্না বেগমকে যৌতুকের দাবিতে মারধর করতেন। ২০১০ সালের ২৯ নভেম্বর দিবাগত রাত ২টা ৩০ মিনিটে আবদুর রব আবার ঝর্নাকে মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে পুকুরের পানিতে চুবিয়ে তিনি তাঁকে হত্যা করেন।

এ ঘটনায় পরদিন ঝর্নার বাবা কুমিল্লা নাঙ্গলকোট উপজেলার কান্দাল গ্রামের শামসুল হক বাদী হয়ে আবদুর রবসহ অজ্ঞাতনামা দুই থেকে তিনজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে নাঙ্গলকোট থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ আবদুর রবকে নোয়াখালীর সেনবাগ থেকে গ্রেপ্তার করে।

এরপর আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. শাহজাহান ২০১১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি আদালতে আবদুর রবের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন।

পরে ১৬ সাক্ষীর সাক্ষ্য এবং তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আবদুর রবের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে মৃত্যুদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষে স্পেশাল পিপি প্রদীপ কুমার দত্ত এবং আসামিপক্ষে জাকির হোসেন মামলা পরিচালনা করেন।