চাঁদপুরের ছেঙ্গারচর পৌরসভা নির্বাচনে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি

দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টার দিকে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছেঙ্গারচর সরকারি মডেল উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে
ছবি: প্রথম আলো

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছেঙ্গারচর পৌরসভা নির্বাচনে ১ নম্বর ওয়ার্ডের দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন এক কাউন্সিলর প্রার্থী সাইফুদ্দিন মিয়া ও তাঁর ভাই রিপন মিয়া।

আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে ছেঙ্গারচর সরকারি মডেল উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। এতে ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় প্রায় ৩০ মিনিট ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

আহত ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী সাইফুদ্দিন মিয়া বলেন, ঢ্যাঁড়স প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. সোলায়মান ফরাজী ও টেবিল ল্যাম্প প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থী সাইফুল ইসলামের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনায় তিনি (সাইফুদ্দিন) ও তাঁর ভাই রিপন মিয়া আহত হয়েছেন। তিনি দাবি করেন, এই ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী সাতজন। এর মধ্যে তাঁর ভোটার সংখ্যা বেশি। অন্য প্রার্থীদের ভোটার সংখ্যা কম হওয়ায় তাঁরা হামলা চালিয়ে ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছেন।

চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ বলেন, ‘কেন্দ্রটিতে কিছুটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছিল। আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অথবা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে আমাদের কাছে এখনো এ নিয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি।’

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ হচ্ছে বলে কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে জানিয়েছেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান। তিনি বলেন, এখানে প্রথম ইভিএমে ভোটের ফলে নারীদের ভোট দিতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে।