প্রেমের টানে মালয়েশিয়ার তরুণী লক্ষ্মীপুরে

মালয়েশিয়ার তরুণী নূর আজিরা বিনতে আজহার ও লক্ষ্মীপুরের রিয়াজ উদ্দিন গতকাল শুক্রবার বিয়ে করেনছবি: সংগৃহীত

তাঁদের দেশ ভিন্ন। ভাষাও আলাদা। বড় হয়েছেন পৃথক সংস্কৃতিতে। এমন অনেক অমিল থাকা সত্ত্বেও এক হয়েছেন ভালোবাসার টানে। প্রথমে পরিচয় থেকে বন্ধুত্ব। তারপর প্রেম। এরপর সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশের লক্ষ্মীপুরে এসে বিয়ে করেন মালয়েশিয়ার তরুণী নূর আজিরা বিনতে আজহার (৩১)।

লক্ষ্মীপুর পৌরসভার রিয়াজ উদ্দিনের (৩২) সঙ্গে একটি ফ্যাশন ডিজাইনের প্রতিষ্ঠানে পরিচয়ের পর আজিরার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত মঙ্গলবার তিনি বাংলাদেশে আসেন। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁরা বিয়ে করেন।

রিয়াজের গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের আবিরনগর এলাকায়। ওই এলাকার নিজ বাসায় বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন রিয়াজ ও আজিরা। বিদেশি নতুন বউকে দেখতে এলাকার অনেকে ভিড় করেছেন।

দুই লাখ টাকা দেনমোহরে রিয়াজ তাঁর ভালোবাসার মানুষকে বিয়ে করেছেন। বিয়ের পরপরই সবার উপস্থিতিতে নগদ ২৫ হাজার টাকা, হীরার আংটি ও সমপরিমাণ অর্থের স্বর্ণালংকার দিয়ে দেনমোহর পরিশোধ করেন তিনি।

রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ছয় বছর আগে একদিন আজিরা একটি ফ্যাশন ডিজাইন প্রতিষ্ঠানে ক্লাস করার জন্য আসেন। পাশেই রিয়াজের দোকান ছিল। তখন আজিরার সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। প্রথম পরিচয়ের সময় আজিরা মনে করেছিল, তিনি ইরান কিংবা সৌদি আরবের। সেই পরিচয় থেকে প্রেমের সম্পর্কে রূপ নেয়। পরে আজিরা তাঁর মাকে রিয়াজের সম্পর্কে জানান। এর দুই মাস পরে রিয়াজ ও আজিরার সঙ্গে সরাসরি ভালো লাগার বিষয়ে কথা বলেন। কুয়ালালামপুর শহরের ইস্তেফা সেন্টার থেকে তাঁদের নতুন সম্পর্কের সূচনা ঘটে। সম্পর্কের প্রথম দিকেই আজিরার মা-বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করেন রিয়াজ। প্রথমে আজিরার বাবা একটু মনঃক্ষুণ্ন ছিলেন। কিন্তু এখন রিয়াজের সঙ্গে তাঁর শ্বশুর আজহারের ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।

আজিরার সম্পর্কের রিয়াজ বলেন, ‘আজিরার কোনো ছেলেবন্ধু নেই, এ জন্য আমি তাঁকে বেশি ভালোবাসি। আর মালয়েশিয়ায় আমি অনেক ধরনের মেয়ে দেখেছি। কিন্তু আজিরার মতো কাউকে পাইনি।’

নববধূ আজিরা বলেন, ‘আমি রিয়াজকে অনেক বেশি ভালোবাসি। আমাদের মধ্যে ছয় বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ সময় দেখেছি সে খুব ভদ্র স্বভাবের ও অনেক সুন্দর। শ্বশুর-শাশুড়িও আমাকে মেয়ের মতো গ্রহণ করেছেন।’