সীতাকুণ্ডে ছাত্রদল নেতাকে না পেয়ে ক্রীড়াবিদ ভাইকে গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কাজী সেলিম উদ্দিনকে না পেয়ে তাঁর ছোট ভাই কাজী নাজিম উদ্দিনকে আটক করে নিয়ে গেছে পুলিশ। নাজিম উদ্দিন একজন ক্রীড়াবিদ। তাঁকে একটি নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
গতকাল রোববার দিবাগত রাতে উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের নতুন পাড়া এলাকায় উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কাজী সেলিম উদ্দিনের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় কাজী সেলিম উদ্দিন বাড়িতে ছিলেন না। পরে তাঁর ছোট ভাই কাজী নাজিম উদ্দিনকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। আজ সোমবার দুপুরে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
কাজী নাজিম উদ্দিন উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার তালিকাভুক্ত ক্রীড়াবিদ। তবে পুলিশ বলছে, তিনি নাশকতা মামলার সন্দেহভাজন আসামি। তাঁকে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া একটি নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
কাজী নাজিম উদ্দিন যে ক্রীড়াবিদ, সে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সীতাকুণ্ড ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক ও আওয়ামী লীগ নেতা ক্রীড়াবিদ ফজলে এলাহি। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘কাজী নাজিম উদ্দিন উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সঙ্গে যুক্ত। এ ছাড়া চট্টগ্রাম ক্রীড়া সংস্থার তালিকাভুক্ত আম্পায়ার ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য। রাজনীতির সঙ্গে তিনি কখনোই জড়িত ছিলেন না। ভাইয়ের কারণে তাঁকে ধরে নেওয়ার ঠিক হয়নি। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।’
ছাত্রদলের আহ্বায়ক কাজী সেলিম উদ্দিন ফেসবুক মেসেঞ্জার থেকে ফোন করে প্রথম আলোকে বলেন, ‘পুলিশের হয়রানির ভয়ে দীর্ঘদিন ধরে বাড়িতে থাকি না। আমার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক মামলা রয়েছে। পুলিশ হন্যে হয়ে আমাকে খুঁজছে। রাজনীতি করা অপরাধ হলে আমি করেছি। কিন্তু আমার ভাই তো কোনো অপরাধ করেনি। আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক কেন, কোনো ধরনের মামলাই নেই।’
কাজী সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘আত্মীয়স্বজন সকাল ছয়টা থেকে আমার ভাইকে ছাড়ানোর জন্য থানায় ধরনা দিয়েছেন। কিন্তু পুলিশ তাকে চালান করে দিয়েছে। আজ আমার কারণে সে গ্রেপ্তার হওয়ায় নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছে।’
কাজী নাজিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে থানায় আগের কোনো মামলা নেই বলে পুলিশ জানিয়েছে। তবে একটি নাশকতার মামলায় তাঁকে এখন আসামি করা হয়েছে। সীতাকুণ্ড থানার সেকেন্ড অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) নাসির উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, কাজী নাজিম উদ্দিন সম্প্রতি ঘটে যাওয়া নাশকতা মামলার সন্দেহজনক আসামি। যদি তিনি আসামি না হতেন, তাহলে তাঁর এলাকার জনপ্রতিনিধি কিংবা স্বজনেরা তাঁকে ছাড়ানোর জন্য তদবির করতেন। চালানপত্র প্রস্তুত হওয়ার পর তাঁর এক আত্মীয় এসে কাজী নাজিমকে নির্দোষ দাবি করে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছিলেন, কিন্তু তখন আর সম্ভব হয়নি।