গাছগুলো কী অপরাধ করেছিল

নোয়াখালী সদর উপজেলার ধর্মপুর এলাকায় চারাগাছ ধ্বংসের পর হতাশাগ্রস্ত মালিক। গতকাল দুপুরেছবি: প্রথম আলো

নোয়াখালী সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নে মায়া নার্সারির প্রায় ৭৫ হাজার গাছ আগাছানাশক বিষাক্ত কেমিক্যাল স্প্রে করে পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুড়িয়ে ফেলা গাছের মূল্য প্রায় ১৬ লাখ টাকা বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী নার্সারির মালিক মফিজুর রহমান। গত শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব শুল্লুকিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নার্সারিটির নাম মায়া নার্সারি। নার্সারির মালিক মফিজুর রহমানের ছেলে জসিম উদ্দিন (৩৬) ও আবদুর রহিম ওরফে বাদশা (৩৩) অভিযোগ করে বলেন, পূর্ব শুল্লুকিয়া গ্রামের আবদুর রাজ্জাক ওরফে সফি মেস্তুরির ছেলে আবদুল হামিদ গত শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় একটি মসজিদের সামনে ক্যারম খেলছিলেন। তাঁদের বাবা মফিজুর রহমান বাধা দিলে তাঁরা তাঁকে নানা হুমকি দেন এবং অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করেন। এরপর শুক্রবার রাতের কোনো একসময় নার্সারির প্রায় ৭৫ হাজার চারা গাছে আগাছানাশক কেমিক্যাল স্প্রে করে দুর্বৃত্তরা। এতে সব কটি গাছের পাতা বিবর্ণ হয়ে গাছগুলো মরে যায়। এ ঘটনায় তাঁদের প্রায় ১৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন জসিম উদ্দিন ও আবদুর রহিম।

ক্যারম খেলা নিয়ে হুমকির বিষয়ে জানতে আবদুল হামিদের মুঠোফোনে ফোন করা হলে তিনি ফোন কেটে দেন। পরে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

স্থানীয় বাসিন্দা জসিম উদ্দিন বলেন, সামান্য বিষয় নিয়ে এত চারা গাছ এভাবে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।

এ বিষয়ে সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর জাহিদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি কেউ থানায় জানায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।