আহত দুই ব্যক্তি হলেন ট্রাকচালক জালাল উদ্দিন (২৭) ও তাঁর সহকারী ফোরকান (২৫)। নিখোঁজ চারজনও ট্রাকচালক ও তাঁদের সহকারী। তাঁদের পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের কাছে জানা যায়, আজ চালক ও তাঁদের সহকারীরা ট্রাক নিয়ে থানচি উপজেলা সদরের দিকে আসছিলেন। উপজেলা সদর থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে তামলাওপাড়া এলাকায় আসার পর কেএনএফ সদস্যরা তাঁদের ট্রাক লক্ষ্য করে গুলি চালান। এ সময় আতঙ্কিত হয়ে ট্রাক থেকে নেমে পালিয়ে যাওয়ার সময় চালক জালাল উদ্দিন গুলিবিদ্ধ ও তাঁর সহকারী ফোরকান আহত হন।

থানচি উপজেলা সদরে পৌঁছে আহত জালাল উদ্দিন বলেছেন, তাঁরা দুটি ট্রাকে সকালে নির্মাণাধীন থানচি-রেমাক্রি-লেইক্রি সড়কের নির্মাণসামগ্রী নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফিরে আসার পথে তাঁরা হামলার শিকার হয়েছেন। দুটি ট্রাকে তাঁরা তিনজন করে ছয়জন ছিলেন। তাঁরা দুজন আহত অবস্থায় পালিয়ে বাকত্লাইপাড়া এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে এসে পৌঁছান। সেখান থেকে তাঁদের থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। অন্য চারজন সম্পর্কে তাঁরা কোনো কিছু জানেন না।

থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুরাদ হোসেন জানিয়েছেন, আহত দুজনের মধ্যে জালাল উদ্দিনের গায়ে ছররা গুলি লেগেছে। ফোরকান পালিয়ে যাওয়ার সময় পায়ে আঘাত পেয়েছেন। তাঁদের দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর বান্দরবান জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমদাদুল হক বলেছেন, নিখোঁজ চারজনের খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। তাঁরা যদি পালিয়ে থাকেন, তাহলে নিশ্চয়ই ফিরে আসবেন।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি তামলাওপাড়ার কাছাকাছি রেমাক্রিখালের সেতু এলাকায় র‍্যাবের সঙ্গে কেএনএফের বন্দুকযুদ্ধ হয়েছে। সেখান থেকে জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কীয়ার ১৭ জন এবং কেএনএফ তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার ও বিপুল অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। পরদিন সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব কর্মকর্তারা তাঁদের গ্রেপ্তার এবং অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করার কথা জানিয়েছিলেন।