নোয়াখালীতে ইউপি সদস্যকে কোপানোর অভিযোগে তরুণকে পিটিয়ে হত্যা

নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় এক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগে এক তরুণকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার সকাল ছয়টার দিকে উপজেলার নোয়াখলা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম নোয়াখলা গ্রামের আকবর পাটোয়ারীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আহাদ আহমেদ (২০) নোয়াখলা গ্রামের আকবর পাটোয়ারী বাড়ির বাবর হোসেনের ছেলে। খবর পেয়ে সকাল নয়টার দিকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পূর্বশক্রতার জের ধরে আজ ভোর সোয়া পাঁচটার দিকে ইউপি সদস্য ওমর ফারুক পাটোয়ারীকে তাঁর ভাড়া বাসায় ঢুকে আহাদ আহমেদসহ একদল লোক কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। খবর পেয়ে ইউপি সদস্যের অনুসারী ও স্থানীয় এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্ত আহাদের বাড়িতে পাল্টা হামলা চালান। একপর্যায়ে তাঁকে তাঁর বাড়িতে ঢুকে মারধর করেন এলাকা লোকজন। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।  

নোয়াখলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মো. মানিক বলেন, আহাদ আগে থেকেই মাদকাসক্ত ও বেপরোয়া ছিলেন। আজ ভোরে তিনি ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে জখম করেন। খবর পেয়ে এলাকাবাসী আহাদের বাড়িতে গেলে সেখানে তিনি ছালেহ আহমদ নামে আরও এক ব্যক্তিকে জখম করেন। পরবর্তী সময়ে স্থানীয় লোকজন আহাদের বাড়িতে তাঁকে ধরে বেধড়ক মারধর করেন। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুরুতর আহত ইউপি সদস্যকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, হত্যার শিকার আহাদ ইউপি সদস্য ফারুকের ঘরে গিয়ে তাঁকে কুপিয়ে আহত করেন। পরে এলাকার লোকজন তাঁকে পিটুনি দিয়ে হত্যা করেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযোগের আলোকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।