‘গলা টিপে দেওয়ার হুমকি’ দিয়েছেন ডিন, উপাচার্যের কাছে বিচার চাইলেন অধ্যাপক

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিভাগের অধ্যাপক মু. গোলাম কবীরকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছনার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ মাহবুবুল হকের বিরুদ্ধে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিরীণ আখতারকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানিয়ে এ ঘটনার বিচার দাবি করেছেন অধ্যাপক মু. গোলাম কবীর। আজ বুধবার দুপুরে তিনি এ চিঠি দেন।

গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের ২৪৪তম সভা ছিল। ওই সভার ২৮তম আলোচ্যসূচি ছিল লিখিত পরীক্ষা ছাড়া জাতীয় পর্যায়ের খেলোয়াড়দের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া। অধ্যাপক মু. গোলাম কবীর এ বিষয়ে সম্মতি জানিয়ে বক্তব্য দেন। এরপর কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ মাহবুবুল হক চড়াও হন বলে একাডেমিক কাউন্সিলের একাধিক সদস্য জানিয়েছেন। যদিও শেষ পর্যন্ত একাডেমিক কাউন্সিল ডিনস কমিটিকে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছে।

উপাচার্যকে পাঠানো চিঠিতে মু. গোলাম কবীর উল্লেখ করেন, একাডেমিক কাউন্সিলে দেওয়া তাঁর বক্তব্যের পরেই কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন তাঁকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে বক্তব্য দিয়েছেন। তাই তিনিসহ আরও কয়েকজন সদস্য ব্যক্তিগত আক্রমণ করে বক্তব্য না দেওয়ার জন্য ডিনকে অনুরোধ করেন। তবে এ অনুরোধ না মেনে আরও উত্তেজিত হয়ে একপর্যায়ে ডিন তাঁকে শারীরিকভাবে আক্রমণ করার জন্য উদ্যত হন। পরে কয়েকজন সদস্য তাঁকে শারীরিক আক্রমণ থেকে রক্ষা করেন।

চিঠিতে গোলাম কবীর আরও উল্লেখ করেন, সভায় উত্তেজিত হয়ে মোহাম্মদ মাহবুবুল হক তাঁর গলা টিপে ধরার হুমকি দেন। এ ঘটনায় তিনি অত্যন্ত মর্মাহত ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত।  তিনি বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তিনি উপাচার্যের কাছে এ বিষয়ে সুবিচার চেয়ে তাঁর নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেন।

চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে মু. গোলাম কবীর প্রথম আলোকে বলেন, একাডেমিক কাউন্সিলে মোহাম্মদ মাহবুবুল হক যে আচরণ করেছেন, সেটি শিক্ষকসুলভ আচরণ নয়। এ ঘটনায় তিনি বিব্রত। প্রকাশ্যে গলা টিপে ধরতে আসার চেষ্টার মতো ঘটনা ঘটেছে। তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাই উপাচার্যকে চিঠি দিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেছেন।

ডিন মোহাম্মদ মাহবুবুল হকের মন্তব্য জানতে তাঁর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে গতকাল মঙ্গলবার রাতে তিনি প্রথম আলোকে জানিয়েছিলেন, সিদ্ধান্তের বিষয়ে তাঁদের দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়েছে। এ নিয়ে উচ্চবাচ্যও হয়েছিল। তবে তিনি চড়াও হননি।

এ ব্যাপারে মন্তব্য জানতে চেয়ে উপাচার্য শিরীণ আখতারের মুঠোফোন একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।