উখিয়ায় আশ্রয়শিবিরে রোহিঙ্গা কিশোরকে গলা কেটে হত্যা

রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির
ফাইল ছবি: প্রথম আলো

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় বালুখালী আশ্রয়শিবিরে (ক্যাম্প-১০) মুজিবুর রহমান (১৭) নামের এক রোহিঙ্গা কিশোরকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ছয়টার দিকে আশ্রয়শিবিরের (ক্যাম্প-১০) এইচ-২৫ ব্লকের বাসিন্দা শরীফ হোসেনের বাড়ির পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও রোহিঙ্গা নেতারা বলেন, আধিপত্য বিস্তারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সন্ত্রাসীরা গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে মুজিবুরকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে কয়েক কিলোমিটার দূরে পানির নালা এলাকায় নিয়ে প্রথমে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কাটে এবং পরে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ ফেলে যায়। নিহত মুজিবুর রহমান বালুখালী আশ্রয়শিবিরের (ক্যাম্প-৮-ডব্লিউ) এ-৪৬ ব্লকের বাসিন্দা ওবায়দুল হকের ছেলে।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী প্রথম আলোকে বলেন, রোহিঙ্গাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ সকালে আশ্রয়শিবিরের পানির নালা এলাকা থেকে রোহিঙ্গা কিশোরের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে। দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আধিপত্য বিস্তারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আরসা সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যা করে বলে জানা গেছে। সন্ত্রাসীদের ধরতে আশ্রয়শিবিরে অভিযান চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে রাত আটটা পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়নি। কাউকে আটক করাও সম্ভব হয়নি।

পুলিশ জানায়, সর্বশেষ গত ২২ আগস্ট রাতে উখিয়ার বালুখালী আশ্রয়শিবিরে (ক্যাম্প-৮) আরসার সন্ত্রাসীরা ঘর থেকে তুলে নিয়ে মো. ইউসুফ (১৬) নামের এক রোহিঙ্গা কিশোরকে গুলি করে হত্যা করে। সে ওই আশ্রয়শিবিরের এইচ-১৭ ব্লকের হামিদ হোসেনের ছেলে।

পুলিশ ও রোহিঙ্গা নেতাদের দেওয়া তথ্যমতে, গত আট মাসে আশ্রয়শিবিরে ৫২টি সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ৬১ জন রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১৭ জন রোহিঙ্গা মাঝি, ১৮ জন আরসা সদস্য, ২ জন আরএসও সদস্য, ১ জন স্বেচ্ছাসেবক ও অন্যরা সাধারণ রোহিঙ্গা।