সিলেটে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর প্রচারণায় সরকারি কর্মকর্তা

সিলেট-৪ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইমরান আহমদের সমর্থনে নির্বাচনী সভায় অংশ নেন তাঁর সহকারী একান্ত সচিব মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান (সবার ডানে)। বুধবার বিকেলে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার সিএনবি ডাক বাংলো মাঠে
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধি ও সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা লঙ্ঘন করে সিলেট-৪ (কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুর) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবং প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদের সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান। সর্বশেষ গত বুধবার বিকেলে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার সিএনবি ডাকবাংলো মাঠে নৌকার প্রার্থীর সমর্থনে সভা আয়োজন করে উপজেলা আওয়ামী লীগ। এতে মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

এর আগেও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ রণিখাই ইউনিয়নের জামেয়া মুশাহিদিয়া ক্বাসিমুল উলূম খাগাইল মাদ্রাসায় ইমরান আহমদের শিক্ষক ও ছাত্রদের সঙ্গে নির্বাচনী মতবিনিময় সভায়ও উপস্থিত ছিলেন রাশেদুজ্জামান। জৈন্তাপুরে ইমরান আহমদের জনসভায় উপস্থিত আওয়ামী লীগের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, রাশেদুজ্জামান মন্ত্রীর সঙ্গেই বিভিন্ন প্রচারণায় উপস্থিত হন। তবে তিনি গণমাধ্যমের ক্যামেরা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেন।

সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ১৯৭৯-এর ২৫ (৩) ধারায় বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারী বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অথবা অন্যত্র কোনো আইন সভার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা অথবা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করা বা অন্য কোনোভাবে হস্তক্ষেপ করা বা প্রভাব খাটাতে পারবেন না। প্রচারণায় অংশ না নিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালাতেও নির্দেশনা আছে। সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালার ১৪ (২) এ বলা হয়েছে, সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি তাঁর নিজের বা অন্যের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় সরকারি যানবাহন, সরকারি প্রচারযন্ত্রের ব্যবহার বা অন্যান্য সরকারি সুবিধা ভোগ করতে পারবেন না। এ উদ্দেশ্যে সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারী বা কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক বা কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ব্যবহার করতে পারবেন না।

বিষয়টি নজরে আনা হলে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম বলেন, আচরণবিধি প্রতিপালনের বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া রয়েছে। এ বিষয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট জৈন্তাপুর উপজেলার সহকারী কমিশনারের (ভূমি) সঙ্গে যোগাযোগ করার কথা জানান।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাচন আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিতের উদ্দেশ্যে নিয়োগপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফাতেমা তুজ জোহরা সানিয়া বলেন, নির্বাচনের ডকুমেন্টেশনের কাজে কয়েক দিন ধরে ব্যস্ত ছিলেন। এ জন্য বিষয়টি নজরে আসেনি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন।