কুমিল্লায় বঙ্গবন্ধুর ভাঙা ম্যুরালের সামনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের অবস্থান
কুমিল্লায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবাষিকী উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার কোনো কর্মসূচি পালিত হয়নি। এদিকে আজ সকালে শহরের নগর শিশু উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর ভাঙা ম্যুরালের সামনে অবস্থান নেন বিএনপির নেতা–কর্মীরা। তাঁরা জানান, শোক পালনের নামে নৈরাজ্য না হয়, সে জন্য তাঁরা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল পাহারা দিচ্ছেন।
দেশব্যাপী ছাত্র–জনতার বিপুল আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর আওয়ামী লীগ এখন নেতৃত্বশূন্য। ১৯৭৫ সালের এই দিনে এক দল বিপথগামী সেনাসদস্য বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে সপরিবার হত্যা করে। এবার পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু দিবস পালিত হচ্ছে। কুমিল্লায় আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে না। তাঁদের অনেকে আত্মগোপনে রয়েছেন।
আজ সকাল নয়টায় কুমিল্লা নগরের রামঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনের সড়কে বিএনপির নেতা–কর্মীরা অবস্থান করছেন। এ ছাড়া নগরের নজরুল অ্যাভিনিউ মডার্ন স্কুলের সামনে বিএনপির নেতা–কর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন।
নগরের কান্দিরপাড়ে বেলা ১১টায় নেতা–কর্মীদের নিয়ে অবস্থান করছিলেন মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব ইউসুফ মোল্লা। তিনি জানান, শোকের নামে যেন কেউ নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে না পারে, সে জন্য বিএনপির নেতা–কর্মীরা কান্দিরপাড়ে অবস্থান নিয়েছেন। এ ছাড়া নগরীর ২৭ ওয়ার্ডেও অবস্থান করছেন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীরা। দিনভর নেতা–কর্মীরা টাউনহলে অবস্থান করবেন।
এদিকে নগর উদ্যানের ভাঙা ও পুড়ে যাওয়া বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের সামনে নেতা–কর্মীদের নিয়ে ছিলেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক উৎবাতুল বারি। তিনি জানান, নগরের যেসব জায়গায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল রয়েছে, সেখানেও নেতা–কর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন। এই কর্মসূচি সম্পর্কে বলেন, ‘অনেকেই লুকিয়ে এসে মোমবাতি প্রজ্বালন কিংবা ফুলের ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করে নানান কথা রটাবে। সে জন্য তাঁদের এই সুযোগ দেওয়া হয়নি। তবে দলীয় নেতা–কর্মীদের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কেউ ফুল দিতে এলে তাঁর সঙ্গে যেন দুর্ব্যবহার করা না হয়। তাঁদের বুঝিয়ে–শুনিয়ে যেন বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়।’