প্রেমিকাকে কলেজের ফটকে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়ে ফেস্টুন

জামালপুর জেলার মানচিত্র

রাগ-অভিমানের মোড়কে যে ভালোবাসা, এর একটি আলাদা সৌন্দর্য নিশ্চয় আছে। মান-অভিমানের মধ্য দিয়েই গড়ে ওঠে একটি প্রেমের সম্পর্ক। সম্পর্ক চলার সময় দুজনের মধ্যে মান-অভিমান চলবে, বিভিন্নভাবে প্রেমিক তাঁর প্রেমিকার অভিমান ভাঙান। তবে এবার জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় এক প্রেমিক তাঁর অভিমানী প্রেমিকার অভিমান ভাঙাতে ভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে সবার নজরে এসেছেন।

অভিমান ভাঙাতে প্রেমিকাকে কলেজের ফটকে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়ে টাঙিয়েছেন ফেস্টুন ও গেটের সামনের সড়কে লিখে অভিমান ভাঙানোর চেষ্টা করেছেন এক প্রেমিক। আজ বুধবার দুপুরে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

উপজেলার জাহানারা লতিফ মহিলা কলেজ গেটের সামনে ওই ফেস্টুন ও রাস্তায় দুঃখ প্রকাশের প্রতীকী চিত্রাঙ্কন করা হয়েছে। সাদা রঙে ক্ষমা চেয়ে, দুঃখ প্রকাশ করে প্রেমিক তাঁর জীবনে আবার প্রেমিকাকে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে প্রেমিকের এই ব্যতিক্রম উদ্যোগের মধ্য দিয়ে অভিমানী প্রেমিকার অভিমান ভেঙেছে কি না, সেটা জানা যায়নি।

আজ বুধবার দুপুরে টাঙানো ফেস্টুন ও রাস্তার চিত্রাঙ্কনের ছবি বিভিন্ন বয়সীর নারী-পুরুষের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুক) ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে ফেসবুক ব্যবহারকারী বিভিন্নজন নানাভাবে মন্তব্য করছেন।

স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার রাতে এক প্রেমিক ওই কলেজের সামনে গাছের সঙ্গে টাঙিয়েছেন একটি ফেস্টুন, সেখানে লেখা হয়েছে, ‘সরি সরি’। পাশেই রাস্তায় দুঃখ প্রকাশের প্রতীকী চিহ্ন অঙ্কন করেও লেখা হয়েছে ‘সরি’। গেটের একটু পাশেই বড় একটি গাছের ঢালেও টাঙানো হয়েছে দুটি ফেস্টুন, এতে লেখা হয়েছে, ‘প্লিজ কাম ব্যাক টু মাই লাইফ, আই লাভ ইউ’। অপরটিতে লেখা হয়েছে, ‘আই মিস ইউ এভরিডে, আই মিস ইউ এভরি টাইম’। এমন ব্যতিক্রম কাণ্ডে অবাক সাধারণ শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজন।

কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, এ ধরনের ঘটনা আগে কখনো তাঁরা দেখেননি। তাঁদের ধারণা, প্রেমিকা হয়তো ওই কলেজেই পড়েন। সেই জন্য ওই কলেজের গেটের সামনে ফেস্টুন টাঙিয়েছেন প্রেমিক, যাতে প্রেমিকার নজরে পড়ে আর তাঁদের অভিমানের পালার অবসান ঘটে।

ওই কলেজের অধ্যক্ষ মো. খায়রুল ইসলাম বলেন, ফেস্টুনে লেখা দেখে বোঝা যাচ্ছে, হয়তো দুজনের মধ্যে অভিমান চলছে। অভিমান ভাঙাতেই হয়তো এই পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে। তবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে এর প্রভাব পড়তে পারে। তাই সব ফেস্টুন খুলে ফেলা হয়েছে।