ধুনটে পেট্রল দিয়ে ব্যবসায়ীর খননযন্ত্র পোড়ানোর অভিযোগ

খননযন্ত্রে আগুনে পোড়া চিহ্ন দেখা যাচ্ছেছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় পেট্রল দিয়ে এক ব্যবসায়ীর খননযন্ত্র (এক্সকাভেটর) পুড়িয়ে দেওয়া অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার রাতে ধুনট থানায় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ও খননযন্ত্রটির মালিক সুলতান মাহমুদ দুজনের বিরুদ্ধে তাঁর ৫০ লাখ টাকা মূল্যের খননযন্ত্রটি পুড়িয়ে দেওয়ার লিখিত অভিযোগ করেন। গত শুক্রবার রাতে উপজেলার চিকাশি ইউনিয়নে গজারিয়া গ্রামে খননযন্ত্রটি পোড়ানোর ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ধুনট উপজেলার বড়বিলা গ্রামের বাসিন্দা সুলতান মাহমুদের কাছ থেকে গজারিয়া গ্রামের ইউসুফ আলী প্রায় ২০ দিন আগে ঘণ্টাপ্রতি ১ হাজার ৫০০ টাকা চুক্তিতে খননযন্ত্রটি ভাড়া নিয়ে যান। ইউসুফ আলী খননযন্ত্রটি দিয়ে তাঁর একটি পুকুর থেকে মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করেন। চুক্তি অনুযায়ী ইউসুফ আলীর কাছে ভাড়া বাবদ প্রায় ৩ লাখ টাকা পান সুলতান মাহমুদ। সুলতান শুক্রবার সকালে ইউসুফের কাছে সেই টাকা চান। ইউসুফ ভাড়ার টাকা পরিশোধ না করে সুলতানকে খননযন্ত্রটি ফেরত নিয়ে যেতে বলেন। এ নিয়ে সুলতানের সঙ্গে ইউসুফের বিরোধ তৈরি হয়। সেই বিরোধের জেরে শুক্রবার রাতে ইউসুফ ও তাঁর লোকজন খননযন্ত্রে পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেন।

এ বিষয়ে ইউসুফ আলী মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘সুলতান মাহমুদ চুনিয়াপাড়া গ্রামের কনিকা নামের একটি ইটভাটার মালিকের সঙ্গে চুক্তিতে এক্সকাভেটরটি ভাড়া দিয়েছেন। তাঁরাই আমার পুকুর থেকে এক্সকাভেটর দিয়ে মাটি কেটে ইটভাটায় নিচ্ছেন। আমার সঙ্গে সুলতান মাহমুদের কোনো চুক্তি হয়নি। টাকাপয়সা নিয়ে কোনো বিরোধ ছিল না। তিনি আমার নামে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন।’

তবে সুলতান মাহমুদের দাবি, ইউসুফ আলী তাঁর বাড়ির পাশে পুকুর খনন করার জন্য খননযন্ত্রটি তাঁর কাছ থেকে ভাড়া করে নিয়ে যান। ভাড়ার টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে ইউসুফ ও তাঁর লোকজন খননযন্ত্রে পেট্রল দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছেন। দুই মাস আগে ৫০ লাখ টাকা কিস্তিতে খননযন্ত্রটি কিনেছেন। এখন কিস্তির টাকা তিনি কীভাবে পরিশোধ করবেন? এ কারণে গতকাল রাতে ইউসুফ আলীসহ দুজনের বিরুদ্ধে তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

পেট্রল দিয়ে খননযন্ত্রটি পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ তদন্ত করে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈকত হাসান।