মিয়ানমারে পাচারকালে ভোজ্যতেল, আটা, চিনি, রসুনসহ তিনজন আটক

কক্সবাজার জেলার মানচিত্র

কক্সবাজার শহরে সাগর উপকূল দিয়ে পাচারের চেষ্টাকালে ভোজ্যতেল, আটা, চিনি, রসুনসহ বেশ কিছু খাদ্যপণ্য জব্দ করেছে র‍্যাব। এ সময় পাচারের কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। জব্দ করা খাদ্যপণ্যগুলো যুদ্ধ পরিস্থিতিতে থাকা প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে পাচারের জন্য মজুত করা হয়েছে বলে দাবি র‍্যাবের।

আটক তিন ব্যক্তি হলেন মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম এলাকার আবু তাহের (৫০), টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের মো. তৈয়ব (২৪) ও চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার কাহারঘোনা এলাকার কবির আহমদ (৫৩)। আজ শনিবার দুপুরে র‍্যাব-১৫ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‍্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, কয়েকজন ব্যক্তি যুদ্ধ পরিস্থিতিতে থাকা মিয়ানমারে পাচারের জন্য বেশ কিছু পরিমাণ খাদ্যপণ্য মজুত করে বলে খবর পায় র‍্যাব। গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে সেখানে র‍্যাবের একটি দল অভিযান চালালে ঘটনাস্থল থেকে সন্দেহজনক চার থেকে পাঁচজন লোক দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। পরে ধাওয়া দিয়ে র‍্যাব তিনজনকে আটক করতে পারলেও অন্যরা পালিয়ে যান। আটক ব্যক্তিদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, স্থানীয় একটি বাসা থেকে ৫৩টি বস্তায় ২ হাজার ১২০ লিটার সয়াবিন তেল, ১৭টি বস্তায় ৮৫০ কেজি আটা, ১৫টি বস্তায় ৭৫০ কেজি চিনি, ১২টি বস্তায় ৪৮০ কেজি রসুন উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা এসব খাদ্যপণ্যের আনুমানিক দাম ছয় লাখ টাকার মতো।

আটক ব্যক্তিদের দেওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে র‍্যাবের এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, মিয়ানমারে সরকারি বাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে চলমান সংঘাতের জেরে দেশটির রাখাইন রাজ্যে বেশ কিছু এলাকা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন আছে। এতে পণ্য সরবরাহ বন্ধ থাকায় রাজ্যটিতে খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। সীমান্তের যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে পাচারকারী চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। চক্রটির সদস্যরা কক্সবাজার উপকূলবর্তী সাগরের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে খাদ্যপণ্য পাচার করে আসছিল। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা করা হবে।