কুষ্টিয়ায় গলা কেটে হত্যার পর লাশ গুম করায় তিনজনের যাবজ্জীবন
কুষ্টিয়ায় গলা কেটে হত্যার পর লাশ গুম করার দায়ে তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে তাঁদের তিনজনকে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা পলাতক থাকায় তাঁদের অনুপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন আদালত। মামলার অন্য ২১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পশ্চিম আবদালপুর গ্রামের বড় কালু ওরফে আলী রেজা সিদ্দিক ওরফে বুলবুল (৪৩), মৃত্তিকাপাড়া গ্রামের মনোয়ার হোসেন ওরফে মনো (৪৫) ও মাইজপাড়া গ্রামের লিয়াকত (৪৫)। তাঁরা সবাই চরমপন্থী সংগঠন গণমুক্তিফৌজের নেতা ও সদস্য বলে জানা গেছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ২৭ জুন বিকেলে ঝিনাইদহের গোলকনগর গ্রামের লিটন বিশ্বাস (৩০) বাইসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। পরের দিন সকালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের পাশে লিটনের বিচ্ছিন্ন মাথা উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ২৮ জুন অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়।
মামলার তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন উপপরিদর্শক মুজিবুর রহমান ২৪ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত তিনজনকে যাবজ্জীবন ও অন্যদের খালাস দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের সরকারি কৌঁসুলি অনুপ কুমার নন্দী বলেন, আদালত রায় ঘোষণার সময় মামলার পর্যবেক্ষণে বলেছেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পে দরপত্র দাখিল কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিরোধে প্রতিপক্ষ এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়। দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা পলাতক। তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।