রংপুর কারাগারে বন্দী বিএনপি কর্মীর মৃত্যু

মৃত্যু
প্রতীকী ছবি

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী এক বিএনপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।

মারা যাওয়া যুবকের নাম মনোয়ারুল ইসলাম (৩৫)। তিনি গঙ্গচড়া উপজেলার লক্ষ্মীটারী ইউনিয়ন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে জানিয়েছেন রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান।

রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ জানায়, মনোয়ারুল নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় গত ১৩ জানুয়ারি কারাগারে আসেন। তিনি কারা হেফাজতে থাকা অবস্থায় দুবার অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং অভ্যন্তরীণ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করলে তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মনোয়ারুল গঙ্গাচড়ার লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের পশ্চিম ইছলী এলাকার ফজলে রহমানের ছেলে। তিনি ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির একজন কর্মী। ব্যক্তিজীবনে অবিবাহিত ছিলেন। গতকাল সন্ধ্যায় মনোয়ারুলের লাশ স্বজনের কাছে হস্তান্তরের পর স্থানীয় কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

মনোয়ারুলের ছোট ভাই হারুন মিয়া মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা আছে, এটি তাঁরা জানতেন না। এমনকি মামলাটি কে করেছেন, তা-ও জানতে পারেননি তাঁরা।

এ বিষয়ে গঙ্গাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাছুমুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, মনোয়ারুলের বিরুদ্ধে একজন নারী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। গত ১২ জানুয়ারি উপজেলার মহিপুর এলাকায় সেতুর কাছে বেড়াতে আসা এক নারীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলাটি হয়। মনোয়ারুলকে গ্রেপ্তার করে পরদিন (১৩ জানুয়ারি) কারাগারে পাঠানো হয়। তবে মামলাটির বাদী কে, এ প্রসঙ্গে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য দেননি ওসি।

রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক বলেন, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হন্তান্তর করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এখনো পাননি।