বিদ্যালয়ের গেট ভেঙে পড়ে প্রাণ গেল শিশুশিক্ষার্থীর

লাশ
প্রতীকী ছবি

খাগড়াছড়ির পৌর এলাকায় খবংপুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গেট ভেঙে শ্রাবণ দেওয়ান (৫) নামের প্রাক্‌-প্রাথমিকের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার সকাল নয়টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
শ্রাবণ পৌর শহরের নারায়ণখাইয়া এলাকার বাসিন্দা প্রণয় দেওয়ান ও বাসনা চাকমার ছেলে। অভিভাবকেরা এ দুর্ঘটনায় কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন।

স্থানীয় লোকজন বলেন, সকালে মায়ের সঙ্গে স্কুলে ঢোকার সময় হঠাৎ গেট ভেঙে শিশুটির গায়ের ওপরে পড়ে। সেখান থেকে লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সকালে বিদ্যালয়ের সামনে কথা হয় অভিভাবক অনন্ত চাকমা ও স্থানীয় বাসিন্দা সুকিরণ চাকমার সঙ্গে। তাঁরা বলেন, চার থেকে পাঁচ মাস ধরে গেটের ডান পাশের অংশটি ভাঙা ছিল। অভিভাবকেরা অনেকবার শিক্ষকদের অনেকবার গেটটি মেরামত করার জন্য অনুরোধ করেছেন। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ এতে গুরুত্ব দেয়নি।

ওই এলাকার পৌর কমিশনার অতীশ চাকমা বলেন, দুর্ঘটনায় দায় স্কুল কর্তৃপক্ষ ও ঠিকাদার এড়াতে পারে না। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।

বিদ্যালয়ে প্রবেশের ৩০ ফুট দূরে রয়েছে একটি পুলিশ বক্স। পুলিশ বক্সের কর্তব্যরত উপপরিদর্শক গোবিন্দ চন্দ্র রায় বলেন, স্কুলের গেটটি দীর্ঘদিন ধরে নড়বড়ে অবস্থায় একটা গাছের খুঁটি দিয়ে বাঁধা ছিল। কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা না নেওয়ার এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।

এ ব্যাপারে বক্তব্য জানার জন্য সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষককে পাওয়া যায়নি। তবে বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষকেরা বলেন, শিক্ষার্থী মারা যাওয়ার পরপরই তিনি ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে চলে গেছেন। মুঠোফোন যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ব্যাপারে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘সকালে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আমাদের কল করে বিষয়টি জানিয়েছেন। আমরা স্কুল পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানিয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আরিফুর রহমান বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মরদেহের সুরতহাল করে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছি। যদি কেউ অভিযোগ করে, তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’