বিএনপি ফাউল করে লাল কার্ড খেয়েছে: ওবায়দুল কাদের

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাটে নিজের নির্বাচনী পথসভায় বক্তব্য দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার বিকেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনেছবি: প্রথম আলো

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি পল্টন থেকে দৌড়াতে দৌড়াতে পালিয়ে গেছে। অবরোধে কাজ হয়নি, অবরোধ ভুয়া। অবরোধে রাস্তায় জ্যাম বেড়ে গেছে। বিএনপি ফাউল করে লাল কার্ড খেয়েছে।’

আজ শুক্রবার বিকেল সোয়া চারটার দিকে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক নির্বাচনী পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির অসহযোগ, বাংলার জনগণ তাদের সঙ্গে অসহযোগ করবে না। বিএনপি আজকে প্ল্যান করছে, খাজনা দেবে না, ট্যাক্স দেবে না। তাদের কথা শুনে ঘোড়াও হাসে। বাংলাদেশের জনগণ তাদের আহ্বানে সাড়া দেবে না।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে নেই বলে কি এখানে খেলোয়াড় নেই? ১৮৯৬ জন খেলোয়াড় আছে। ফাইনাল খেলা হবে আগামী ৭ জানুয়ারি। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে, সংবিধানকে বাঁচাতে হবে, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে বাঁচাতে হলে, আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। বাংলাদেশের উন্নয়ন অর্জনকে বাঁচাতে হলে ক্ষমতার মঞ্চে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সাহস থাকে তো আসো, বাংলার রাজপথে মোকাবিলা করো। টেমস নদীর পাড়ে বসে লম্বা লম্বা কথা। বিএনপিতে দণ্ড ছাড়া কি কোনো ভালো মানুষ নেই। খালেদা জিয়া দণ্ডিত, তাঁর পরিবর্তে তারেক রহমান দণ্ডিত। দণ্ডিত ব্যক্তি মানে দুর্নীতিগ্রস্ত। এই নেতার পেছনে কারা থাকবে?’

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার সভাপতিত্বে পথসভায় ফেনী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন, কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ ইব্রাহীম, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরনবী চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে এ পথসভার আয়োজন করা হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনারা ভয় পাবেন না। নির্বাচন করতে হবে। না হয় আমাদের সংবিধানের ধারাবাহিকতা থাকে না। আবার ওয়ান-ইলেভেনের মতো অস্বাভাবিক সরকারের হাতে বাংলাদেশকে তুলে দেওয়ার যড়যন্ত্র চলছে। যদি নির্বাচন চান, দলে দলে এসে সকাল-সন্ধ্যা ভোট দেবেন। জনগণের সঙ্গে, ভোটারদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা থাকবেন।’

নির্বাচনে আচরণবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সব প্রার্থীকে আচরণবিধি মেনে চলতে হবে। ফাউল করলে খবর আছে। আমরা কারও জন্য তদবির করব না। নির্বাচনে যারা বাধা দেবে, তারা আইনি ব্যবস্থার মুখোমুখি হবে।’