হবিগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০

আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু সিদ্দিক (পাঞ্জাবি পরা) হেঁটে ঘটনাস্থল থেকে চলে যাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার নতুন বাজার এলাকায়
ছবি: সংগৃহীত

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় কটূক্তির জেরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার নতুন বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে উভয় পক্ষের পাঁচ নেতাসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এঁদের মধ্যে দুজন নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। বাকিদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তাঁদের নাম জানা যায়নি।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ, পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের একটি পক্ষের নেতৃত্বে আছেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরী এবং অপর পক্ষে আছেন আরেক সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু সিদ্দিক। দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনী তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে গতকাল বুধবার রাতে উপজেলা শহরে আনন্দমিছিল বের করেন এই দুই নেতা এবং তাঁদের কর্মী-সমর্থকেরা। এ সময় দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরা একে অপরকে কটূক্তি ও তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে আবু সিদ্দিকের শ্যালক উপজেলা যুবলীগের সদস্য বাবলু আহমেদকে শহরের নতুন বাজার এলাকায় একা পেয়ে তাঁকে মারধর করেন সাইফুল জাহান চৌধুরীর লোকজন। খবর পেয়ে আবু সিদ্দিক ঘটনাস্থলে গেলে তাঁকেও মারধর করা হয়। পরে দুই পক্ষের কর্মী-সমর্থকেরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। বেলা আড়াইটা পর্যন্ত পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আওয়ামী লীগ নেতা আবু সিদ্দিক ও যুবলীগ নেতা বাবলু আহমেদসহ আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এ ছাড়া উভয় পক্ষের অন্তত আরও ১৫ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ চলাকালে শহরে বেশ কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে। পরে হবিগঞ্জ থেকে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

এ বিষয়ে সাইফুল জাহান চৌধুরী বলেন, গতকাল রাতে তাঁরা আনন্দমিছিলে গেলে তাঁকে নিয়ে কটূক্তি করেন আবু সিদ্দিকের শ্যালক বাবলু আহমেদ। এ সময় তাঁর সমর্থকেরা প্রতিবাদ করলে তাঁদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। আজ বৃহস্পতিবার এ নিয়ে সালিস হওয়ার কথা থাকলেও আবু সিদ্দিক ও বাবলু লোকজন নিয়ে তাঁর ভাইয়ের ওপর হামলা করেন।

আবু সিদ্দিক বলেন, বাবলু মিয়াকে একা পেয়ে মারধর করেন সাইফুল জাহান চৌধুরী ও তাঁর ভাই সাজু আহমেদ চৌধুরী। তিনি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে তাঁর ওপরও হামলা করা হয়।

নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুক আলী প্রথম আলোকে বলেন, মিছিলে কটূক্তি করা নিয়ে আজ আওয়ামী লীগের দুটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।