রংপুরে আওয়ামী লীগ কর্মী হত্যা মামলায় আরও ৪২ আসামি কারাগারে

আদালত
প্রতীকী ছবি

রংপুরের কাউনিয়ায় বাণিজ্যমন্ত্রীর মতবিনিময় সভায় স্লোগান দেওয়ার জেরে আওয়ামী লীগের এক কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় আরও ৪২ আসামির জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার দুপুরে তাঁরা রংপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক শুনানি শেষে ৪২ আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এই নিয়ে হত্যা মামলার ৬০ আসামি কারাগারে আছেন। তাঁদের মধ্যে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক এবং তাঁর ভাই হারাগাছ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ আছেন। আবদুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির সদস্য। তিনি হত্যা মামলার প্রধান আসামি।

মামলা ও আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ এপ্রিল বিকেলে কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ ইউনিয়নের খানসামাহাট এলাকায় ইমামগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। মন্ত্রী মাঠে উপস্থিত হতেই নেতা-কর্মীরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলামের নামে স্লোগান দিতে থাকেন।

একপর্যায়ে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক ও তাঁর বড় ভাই ইউপি চেয়ারম্যান রাজু আহমেদের অনুসারীদের সঙ্গে স্লোগান দেওয়া নেতা-কর্মীদের বাগ্‌বিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ অবস্থায় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি গাড়ি থেকে না নেমে চলে যান। এর জেরে ওই দিন রাত সাড়ে আটটার দিকে হারাগাছ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কর্মী সোনা মিয়া তাঁর দলবল নিয়ে বাড়ি যাওয়ার পথে বাজারে তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

সোনা মিয়া হারাগাছ ইউনিয়নের নাজিরদহ নয়াটারী গ্রামের মৃত আবদুল খালেকের ছেলে। তিনি ওই ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য। এ ঘটনায় ২৬ এপ্রিল সোনা মিয়ার বড় ছেলে আখতারুজ্জামান বাদী হয়ে আবদুর রাজ্জাক, রাজু আহমেদসহ ৭৬ জনের নাম উল্লেখ করে কাউনিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়াও মামলায় ১৫ থেকে ২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

আদালতের পরিদর্শক মীর আতাহার আলী প্রথম আলোকে বলেন, সোনা মিয়া হত্যা মামলার ৪২ আসামি উচ্চ আদালত হাইকোর্টের চার সপ্তাহের জামিনে ছিলেন।

জামিনের সময় শেষ হওয়ায় নিম্ন আদালতে এসে জামিনের আবেদন করেন। এ সময় বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।