ঘন কুয়াশা ও ঠান্ডার মধ্যে ভোট দিচ্ছেন ভোটাররা

ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ সারি। রংপুর নগরের আলমনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে
ছবি: প্রথম আলো

ঘন কুয়াশা ও ঠান্ডা উপেক্ষা করে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন ভোটাররা। সকাল সাড়ে আটটায় আলমনগর কলেজ রোড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে কথা হয় সুরভি আক্তারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘সকাল সকাল লাইনে না দাঁড়ালে ভোট দিতে দেরি, তাই আটটার মধ্যে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছি।’ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানালেন, ‘সুন্দর পরিবেশে ভোট গ্রহণ চলছে।’

১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কেরামতিয়া উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে সড়কে মাথার ওপর ঝুলছিল প্রার্থীদের নির্বাচনী পোস্টার। সেখানে সকাল সাড়ে আটটায় ভোট গ্রহণ শুরুর আগেই ভোট দিতে অনেকে কেন্দ্রে উপস্থিত হয়েছেন। পুরুষ বুথ থেকে নারী বুথে ভোটারদের উপস্থিতি সকাল থেকে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই কেন্দ্রে রোকসানা আক্তার নামের একজন নারী ভোটার বলেন, সকাল সকাল ভোট দিতে না পারলে পরে ভিড় হয়। তা ছাড়া ভোট দিয়ে বাড়ির সংসারের যাবতীয় কাজ করতে হয় বলে সকালেই ছুটে আসা ভোটকেন্দ্রে।

এই ওয়ার্ডের মরিয়মনেছা বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও মুন্সিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল আটটা থেকে ভোটারদের উপস্থিতি দেখা গেছে। তবে কেন্দ্রের বাইরে সড়কের মধ্যে ভোটারদের উপস্থিতি অনেক বেশি। এই কেন্দ্রে রেহানা সুলতানা নামের একজন নারী ভোটার বলেন, ‘উৎসবমুখর পরিবেশ। অনেকের সঙ্গে দেখা হলো। পাঁচ বছর পর সিটি নির্বাচনের ভোট দিতে এসে ভালোই লাগছে।’

এদিকে মুন্সিপাড়ায় এই দুটি কেন্দ্রের বাইরে প্রধান সড়ক ও বাড়ির আশপাশে ভোটারদের উপস্থিতিও বেশ ভালো। বাইরে জটলা না করে তাড়াতাড়ি ভোট দেওয়ার জন্য বিভিন্ন প্রার্থীর সমর্থকদের চেষ্টা চালাতে দেখা যায়। ভোট দেননি কিন্তু কেন্দ্রের বাইরে জটলা করে গল্প করছেন এমন কয়েকজন ভোটারের সঙ্গে কথা হলে তাঁরা বলেন, অনেক দিন পর ভোট হচ্ছে। ভোটের সময় কেন্দ্রের বাইরে দাঁড়িয়ে গল্প করতে ভালো লাগে।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার নুরেআলম মিনা বলেন, ২২৯টি কেন্দ্রের সবকটি কেন্দ্রেই যথাসময়ে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর জানা যায়নি। ভোটকেন্দ্র এবং এর বাইরে ৩৩টি ওয়ার্ডের প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট টহলে আছেন। সেই সঙ্গে র‌্যাব, বিজিবি, পুলিশ ও আনসার দলের সদস্যরাও টহল দিচ্ছেন।