শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের ১৯ নেতা-কর্মী আজীবন ও ১৫ জন সাময়িক বহিষ্কার

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ফাইল ছবি: প্রথম আলো

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা, হলের কক্ষে অস্ত্র ও মাদক রাখার অভিযোগে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের ১৯ নেত–কর্মীকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মোখলেসুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

একই অভিযোগে ৮ শিক্ষার্থীকে চার সেমিস্টার, একজনকে তিন সেমিস্টার, ১১ জনকে দুই সেমিস্টার, ১৫ জনকে  সাময়িক বহিষ্কার এবং ৮ জনকে সতর্ক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

প্রক্টর মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘সিন্ডিকেটের ২৩৭তম সভায় কর্তৃপক্ষ বহিষ্কারের এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সাময়িক শাস্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদেরকে স্থায়ীভাবে কেন বহিষ্কার করা হবে না—এটা উল্লেখ করে কারণ দর্শানোর চিঠি দেওয়া হবে। পরে তাঁদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

গত বৃহস্পতিবার সিন্ডিকেটের ওই সভা হয়। এতে গত বছর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আজীবন বহিষ্কৃতরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী খলিলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এবং বন ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সজীবুর রহমান, সহসভাপতিদের মধ্যে পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের শিমুল মিয়া, পরিসংখ্যান বিভাগের হাবিবুর রহমান হাবিব, বাংলা বিভাগের ইউসুফ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক জৈব রসায়ন ও আণবিক জীববিদ্যা (বিএমবি) লোকমান হোসেনকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।

এ ছাড়া ছাত্রলীগকর্মীদের মধ্যে সমাজবিজ্ঞানের তারেক হাসান, পদার্থবিজ্ঞানের সৈয়দ মা’জ জারদি, সিয়াম খান, পেট্রোলিয়াম ও খনি প্রকৌশল বিভাগের মুজাহিদুল ইসলাম সায়মন, হলে অস্ত্র ও মাদক রাখার দায়ে সহসভাপতি ও পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের  শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ও পরিসংখ্যান বিভাগের অমিত সাহা, ছাত্রলীগকর্মীদের মধ্যে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের তরিকুল ইসলাম, পরিসংখ্যান বিভাগের মাহবুবুর রহমান, সমুদ্রবিজ্ঞানের মারবিন ডালি রিকি, সমাজবিজ্ঞানের শান্ত তারা আদনান ও লোক প্রশাসনের মামুন মিয়াকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।

ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ফারহান হোসেন চৌধুরী (আরিয়ান) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও হলে অস্ত্র-মাদক রাখার অভিযোগে আজীবন বহিষ্কার হয়েছেন।

সাময়িক বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন—রসায়ন বিভাগ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মেহেদী হাসান (স্বাধীন), ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির সহসভাপতিদের মধ্যে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী মামুন শাহ, পলিটিক্যাল স্টাডিজ  ফারহান রুবেল, সমাজকর্ম বিভাগের আয়াজ উদ্দিন, বাংলা বিভাগের আইরিন আক্তার (লিনজা), নূর মোহাম্মদ (শৈশব), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও লোকপ্রশাসন বিভাগের ইমামুল হাসান (হৃদয়), লোকপ্রশাসন বিভাগের সুমন মিয়া, ইংরেজি বিভাগের আজিজুল ইসলাম (সীমান্ত), সাংগঠনিক সম্পাদক ও পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের শুভ সাহা, ছাত্রলীগকর্মী ও বন ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মুজাহিদুল ইসলাম (সাজ্জাদ), লোকপ্রশাসনের সায়মন আক্তার, আমিনুল ইসলাম, সমাজবিজ্ঞানের মোহাম্মদ আলী মঈন ও সমাজকর্মের এম এন রাখায়াত হোসেন (নাবিল)।