কলারোয়ায় কলেজছাত্রকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ

আজহারুল সরদার
ছবি: সংগৃহীত

সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় মসজিদের কমিটি নিয়ে বিরোধের জেরে আজহারুল সরদার (২২) নামের এক কলেজছাত্রকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার বুজতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত আজহারুল উপজেলার সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নের বড়ালী গ্রামের সোহাগ সরদারের ছেলে এবং সোনাবাড়িয়া সোনার বাংলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র।

সোনাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বেনজির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, রাতে বুজতলা বাজারে বাবার চায়ের দোকান থেকে বাড়িতে ফেরার পথে ওই কলেজছাত্রকে কুপিয়ে জখম করেন কয়েকজন। খবর পেয়ে তিনিসহ অন্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তাঁর হাত, পা ও গলায় জখমের চিহ্ন রয়েছে। তিনি জানান, আজহারুল আহত অবস্থায় আতাউর রহমান, রেজাউল করিমসহ কয়েকজন হামলাকারীর নাম বলেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, হত্যার উদ্দেশ্যে আজহারুলের ওপর হামলা করা হয়।

তবে অভিযুক্ত আতাউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বড়ালী উত্তরপাড়া জামে মসজিদের দুই বছর মেয়াদি একটি কমিটি আছে। ১৫ জুলাই স্থানীয় ইউপি সদস্য মাহমুদ আলমসহ কয়েকজন ওই কমিটির সভাপতি আমিনুর রহমানকে কমিটি ভেঙে দিতে বলেন। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে কমিটির পক্ষের আল আমিন বিশ্বাসকে মারধর করেন আজহারুল, সাগর ও গোলাম রসুল নামের তিনজন। এ ঘটনায় আল আমিন বাদী হয়ে তাঁদের তিনজনের নামে মামলা করেন। আতাউরের দাবি, ওই মামলা ভিন্ন খাতে নিতে পরিকল্পিতভাবে আজহারুল এ নাটক সাজিয়েছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ওই শিক্ষার্থীর গলার জখম গুরুতর। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁর গলা, হাত ও পায়ে একাধিক সেলাই দেওয়া হয়েছে।

কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসির উদ্দীন মৃধা বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আহত কলেজছাত্রের চিকিৎসা চলছে। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে মাঠে নেমেছে। এ ঘটনায় বিকেল পৌনে পাঁচটা পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ দেননি।