কুমিল্লায় বার্ডের ৫৫তম বার্ষিক পরিকল্পনা সম্মেলন শুরু

বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমির ৫৫তম বার্ষিক পরিকল্পনা সম্মেলন ভার্চ্যুয়ালি উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমির (বার্ড) ৫৫তম বার্ষিক পরিকল্পনা সম্মেলন শুরু হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ১০টায় কুমিল্লার কোটবাড়িতে বার্ডের লালমাই মিলনায়তনে ভার্চ্যুয়ালি সম্মেলনের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। সম্মেলনে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ১০০ প্রতিনিধি অংশ নেন। সম্মেলন শেষ হবে আগামীকাল রোববার।

বার্ডের মহাপরিচালক মো. শাহজাহানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মো. মশিউর রহমান। স্বাগত বক্তব্য দেন পরিচালক (প্রশিক্ষণ) আবদুল্লাহ আল মামুন। সম্মেলনের আহ্বায়ক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক (প্রকল্প) মো. কামরুল হাসান।

সম্মেলনে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠন ও পল্লি উন্নয়নে বার্ড অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বার্ডের পরীক্ষামূলক প্রকল্পগুলো জাতীয় পর্যায়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে। বর্তমানে এলজিইডি, উপজেলা কমপ্লেক্স, বিএডিসি বার্ডের সফল কর্মসূচি। বার্ডকে বর্তমান যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নানা ধরনের গবেষণা কার্যক্রম বাড়াতে হবে। প্রযুক্তিমূলক কাজ করতে হবে। বাংলাদেশ এখন বিভিন্ন সূচকে এগিয়ে যাচ্ছে। ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ বাস্তবায়নে বার্ডকে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।

সম্মেলনে জানানো হয়, গত অর্থবছরে বার্ড ৩টি আন্তর্জাতিক কোর্স, ১৫১টি প্রশিক্ষণ কোর্স পরিচালনা করে। ১৫৪টি কোর্সের মাধ্যমে ৬ হাজার ৬০১ জনকে প্রশিক্ষণ দেয়। এ ছাড়া গত অর্থবছরে চারটি গবেষণাকর্ম সম্পন্ন করেছে বার্ড। বর্তমানে ১৪টি গবেষণা কার্যক্রম চলমান।

বার্ডের মহাপরিচালক মো. শাহজাহান বলেন, বার্ডের বিগত বছরের প্রশিক্ষণ, গবেষণা, প্রায়োগিক গবেষণা এবং আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের পরিকল্পনা ও কর্মকৌশল নির্ধারিত হবে এ সম্মেলনে। এ ছাড়া বার্ড নিজস্ব অর্থায়নে ১৫টি প্রায়োগিক গবেষণা বাস্তবায়ন করছে। আগামীকাল কয়েকটি পর্বে দলীয় নীতিনির্ধারণী আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।

১৯৫৯ সালের ২৭ মে কুমিল্লার কোটবাড়িতে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড) প্রতিষ্ঠা করেন বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী আখতার হামিদ খান। তাঁর উদ্ভাবিত কুমিল্লাপদ্ধতি গ্রামীণ অর্থনীতিতে বেশ ভূমিকা রেখেছে।