ভাসানচরে পৌঁছাল আরও ৯৬৩ রোহিঙ্গা

কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম হয়ে নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচরে আসা রোহিঙ্গাদের নৌবাহিনীর জাহাজ থেকে নামানো হচ্ছে। সোমবার বিকেলে ভাসানচরে নৌবাহিনীর জেটিতে
ছবি: প্রথম আলো

কক্সবাজারের আশ্রয়শিবির থেকে আরও ৯৬৩ জন রোহিঙ্গা নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচরে পৌঁছেছে। আজ সোমবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে নৌবাহিনীর তিনটি জাহাজে তাদের ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হয়। এ নিয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণকেন্দ্রে রোহিঙ্গা নাগরিকের সংখ্যা ‌দাঁড়াল ৩০ হাজার ৭৯।

ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমদাদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, নতুন রোহিঙ্গাদের প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষে ভাসানচরের ৮৮, ৮৯ ও ৯০ নম্বর ক্লাস্টারে বসবাসের জন্য হস্তান্তর করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

ভাসানচর থানা সূত্রে জানা গেছে, বেলা সাড়ে তিনটার দিকে নৌবাহিনীর তিনটি জাহাজ বানৌজা টুনা, বানৌজা ডলফিন ও বানৌজা পেঙ্গুইনে করে ৯৬৩ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ছাড়া বানৌজা হাতিয়ার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের লাগেজ সেখানে নেওয়া হয়। রোহিঙ্গারা ভাসানচরে পৌঁছানোর পর তাদের সবাইকে স্থানীয় হেলিপ্যাডে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখানে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা শেষে আশ্রয়ণ প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারে হস্তান্তর করা হয়।

প্রসঙ্গত, ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্পে ২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গাকে স্থানান্তর করা হয়। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন দফায় আরও ২৮ হাজার ৪৩৭ জন রোহিঙ্গাকে সেখানে স্থানান্তর করা হয়। এর মধ্যে আজ স্থানান্তরিত হলেন ৯৬৩ জন।

আরও পড়ুন

রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের উদ্দেশ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে ১ লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। ভাসানচরের আশ্রয়ণ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে আছে নৌবাহিনী।

আরও পড়ুন