‘এ্যাক কামলা ৭০০ ট্যাকা, তা–ও ভোট দিব্যার আচ্চি’

ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া এমএইউ একাডেমি বিদ্যালয় কেন্দ্রে। আজ বুধবার দুপুর ১২ টায় তোলা
ছবি: প্রথম আলো

‘একন ইরি ধান কাটামারি চলব্যার নাগচে। সোকাল থাকি টিপটাপ ঝড়ি পরব্যার নাগচে। ধান না কাটলে খতি হবি। তাই তিনটে কামলা নিচি। এ্যাক কামলা ৭০০ ট্যাকা করি। ভোট দিব্যার গ্যালে কাম নষ্ট হয়। তা–ও পেরাথির (প্রার্থী) চাপোত পড়ি ভোট দিব্যার আচ্চি।’

আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া এমএইউ একাডেমি বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর নিজের ভাষায় এসব কথা বলেন লুৎফর রহমান (৬০)। উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের কঞ্চিপাড়া গ্রামে তাঁর বাড়ি।

ওয়াকারে ভর করে একই কেন্দ্রে ভোট দিতে আসেন একই উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার মিলিক জান (৫৫)। তিনি বলেন, ‘হামরা অসুস্থ মানুষ। পরেরব্যার ভোট দিব্যার পামো কি না, তাই কষ্ট করে ভোট দিব্যার আচ্চি।’

বেলা তিনটায় উপজেলার বুড়াইল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা কৃষক শরিফ উদ্দিন (৫৮) বলেন, ‘এক দুপুর ধান কাটলাম। তারপর ভাত খায়া ভোট দিব্যার আসলেম। এব্যার কেন্দ্র ফাঁকা আচিল। তাই তাড়াতাড়ি ভোট দিব্যার পাচি।’ এভাবে অনেক ভোটার তাঁদের প্রতিক্রিয়া জানালেন।

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে আজ বুধবার সকাল ৮টায় গাইবান্ধার সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। দুই উপজেলার ১৬৩টি ভোটকেন্দ্রে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে। এর মধ্যে সাঘাটা উপজেলায় ভোটকেন্দ্র ১০৩টি এবং ফুলছড়ি উপজেলায় ভোটকেন্দ্র ৬০টি। সব কেন্দ্রে ব্যালট পেপারে ভোট গ্রহণ করা হয়।

রিটানিং কর্মকর্তা ও গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আবদুল মোত্তালিব জানান, সকাল থেকে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হচ্ছিল। এ কারণে সকালে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম। পরে ভোটারসংখ্যা বেড়েছে।

ফুলছড়িতে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রার্থী, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছয়জন ও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ উপজেলায় ভোটারসংখ্যা ১ লাখ ২৬ হাজার ৪০।