আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় কৃষক লীগ নেত্রীকে বহিষ্কার
বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মোসা. হালিমা রহমানকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আজ রোববার বিকেলে কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের দপ্তর সম্পাদক রেজাউল করিম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সংগঠনের পক্ষ থেকে হালিমা রহমানকে বহিষ্কারের চিঠিও পাঠানো হয়েছে।
খুলনায় শ্লীলতাহানি ও হত্যাচেষ্টা মামলার আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়া এবং পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার রাতে কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক হালিমা রহমানসহ ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শুক্রবার তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির দপ্তর সম্পাদক রেজাউল করিম জানান, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ ও সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুমের নির্দেশে কৃষক লীগের প্রাথমিক পদসহ সব সাংগঠনিক পদ থেকে হালিমা রহমানকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি সংগঠনের পক্ষ থেকে কোনো সভা-সমাবেশে যোগ দিতে বা প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন না।
হালিমা রহমানকে পাঠানো বহিষ্কারের চিঠিতে বলা হয়, তিন-চার দিন ধরে জাতীয় পত্রপত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হালিমা রহমানের নামে কিছু খবর ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, হালিমা রহমান নানাবিধ অসামাজিক কার্যকলাপ ও রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে জড়িত হয়ে পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন। এতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ অন্য সব সহযোগী ও অঙ্গসংগঠন তাঁর ওই ঘটনার জন্য বিব্রত হয়েছে।
খালিশপুর থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে শ্লীলতাহানি ও হত্যাচেষ্টা মামলার আসামিদের ধরতে মুজগুন্নি বাস্তুহারা এলাকায় হালিমা রহমানের বাসায় অভিযানে যায় পুলিশ। সেখানে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের পেয়ে আটকও করা হয়। কিন্তু তাঁদের পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নিতে হামলা চালান হালিমাসহ বেশ কয়েকজন। এ সময় আহত হন পুলিশের নয়জন সদস্য। অন্যদিকে পালিয়ে যান মামলার অন্যতম আসামি পলাশ। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে। পুলিশের কাজে বাধা ও হামলা চালিয়ে আহত করার অভিযোগে ওই ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ৫০–৬০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।