যশোর জেলা পরিষদের নির্বাচনে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ভোট চাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে আজ শনিবার দুপুরে জেলা পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী শহিদুল ইসলাম জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। ওই অভিযোগের অনুলিপি নির্বাচন কমিশনের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, ‘জেলা পরিষদ নির্বাচনের আচরণবিধির ৬ নম্বর ধারা অনুযায়ী কোনো প্রার্থী বা তাঁর পক্ষে সার্কিট হাউস বা সরকারি ডাকবাংলো কেউ ব্যবহার করতে পারবেন না। কিন্তু আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী গৌতম চক্রবর্তীর পক্ষে তাঁর আপন মামা স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য আজ শনিবার বেলা ১১টায় যশোর সার্কিট হাউসের সভাকক্ষে আমার নির্বাচনী এলাকার জেলা পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের (মনিরামপুর) ভোটার ইউপি চেয়ারম্যানদের ডেকে নির্বাচনী সভা করে নানা ধরনের প্রলোভন দিয়েছেন। গৌতম চক্রবর্তী নিজেও ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া আচরণবিধির ২২ নম্বর ধারায় বলা আছে, মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না। অথচ ৪ অক্টোবর মনিরামপুরের মশিহাটি এলাকার মন্দির পরিদর্শনের সময় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পক্ষে ভোট চেয়েছেন, যা নির্বাচনী আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।’
শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে বারবার তাঁর ভাগনে গৌতম চক্রবর্তীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিচ্ছেন। সরকারি স্থাপনা সার্কিট হাউস ব্যবহার করে নির্বাচনী সভা করেছেন। আজ শনিবার বেলা ১১টায় সার্কিট হাউসের সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণকৃত ফুটেজ দেখলে প্রমাণ পাওয়া যাবে।’
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার পক্ষে অভিযোগ গ্রহণ করেছেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন নির্বাচন কর্মকর্তা শওকত আলী। তিনি বলেন, ‘সরকারি ডাকবাংলো বা সার্কিট হাউসে নির্বাচনী সভা করা এবং সেই সভা প্রতিমন্ত্রী বা সংসদ সদস্যদের অংশগ্রহণ নির্বাচনী আচরণবিধির পরিপন্থী। এ-সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জেলা পরিষদ নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ভোট চাওয়ার অভিযোগের বিষয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, ‘উপজেলা চেয়ারম্যানের সঙ্গে কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যানের ডিবি উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে কিছুটা দ্বন্দ্ব রয়েছে। সে দ্বন্দ্ব মেটানোর জন্য কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে বসেছিলাম। সেখানে নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা হয়নি। রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় কোনো প্রার্থী অভিযোগ করতে পারেন।’