এক সপ্তাহ পরও কুড়িয়ে পাওয়া পাঁচ লাখ টাকার মালিকের সন্ধান পাওয়া গেল না
মহাসড়কে কুড়িয়ে পাওয়া প্রায় পাঁচ লাখ টাকার মালিকের খোঁজে ঠাকুরগাঁও শহরে দুই দিন মাইকিং করেছেন শাকির হোসেন ওরফে সৌরভ। স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় যার খবর প্রচারিত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও হয়েছে আলোচনা। কিন্তু এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও প্রকৃত মালিকের খোঁজ মেলেনি।
এদিকে মাইকিং শুনেতে পেয়ে অনেকেই শাকিরের মুঠোফেনে যোগাযোগ করছেন। শাকির হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত টাকার মালিকানা দাবি করে ১৬ জন তাঁর মুঠোফোনে যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু তাঁদের দেওয়া বর্ণনা আর কুড়িয়ে পাওয়া ব্যাগের সঙ্গে তার মিল পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে অস্বস্তিতে আছেন তিনি।
শাকির হোসেন ঠাকুরগাঁও শহরের শান্তিনগর এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেনের ছেলে। শহরের স্টেডিয়াম এলাকায় মদিনা মেশিনারিজ নামের ক্রোকারিজের দোকান চালান তিনি। প্রাইভেট কার নিয়ে ঘুরতে গিয়ে ১৮ আগস্ট পঞ্চগড়-মহাসড়ক ধরে ফেরার পথে ব্যাগটি কুড়িয়ে পান তিনি। পরে ব্যাগ খুলে সেখানে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা পান। তবে ব্যাগে কোনো কাগজপত্র ছিল না।
শাকির বলেন, টাকাটা পেয়ে মনে করেছিলেন, যাঁর টাকা তিনি হয়তো ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বা মাইকিং করে খুঁজবেন। কিন্তু শুক্রবার রাত পর্যন্ত এমন কিছু না ঘটায় টাকার প্রকৃত মালিকের খোঁজে কী করা যায়, ভাবতে থাকেন। পরে আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের পরামর্শে ২০ ও ২১ আগস্ট ঠাকুরগাঁও শহরে মাইকিং শুরু করেন। কিন্তু এখনো প্রকৃত মালিকের খোঁজ পাওয়া যায়নি।
টাকাগুলো কী করবেন, তা ভেবে না পেয়ে জেলা প্রশাসকের পরামর্শ চান শাকির। গত সোমবার তিনি জেলা প্রশাসকের সঙ্গে দেখা করেন। পরে শাকির হোসেন বলেন, জেলা প্রশাসক তাঁকে জানান, কুড়িয়ে পাওয়া টাকার বিষয়ে আইনের বা নীতিমালায় কিছুই পাননি তিনি। তিনি টাকাটি শাকির হোসেনকে নিজ উদ্যোগেই ভালো কোনো কাজে খরচ করার পরামর্শ দিয়ে কয়েক দিন অপেক্ষা করতে বলেন।
শাকির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, টাকাটা মাসখানেক নিজের হেফাজতেই রাখবেন। এরপরও প্রকৃত মালিক না পাওয়া গেলে স্থানীয় প্রশাসন, গণ্যমান্য ব্যক্তি ও তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষীদের সঙ্গে পরামর্শ করে টাকাটা ভালো কোনো কাজে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেবেন।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, শাকির হোসেন তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন। কুড়িয়ে পাওয়া টাকার বিষয়ে আইনে কোনো ব্যাখ্যা না থাকায় ভালো কোনো উদ্যোগে টাকাটা ব্যবহার করতে তাঁকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।