বাউফলে বাড়িতে ঢুকে ছাত্রলীগ-যুবলীগের দুজনকে কুপিয়ে জখম
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দল ও আধিপত্য নিয়ে বাড়িতে ঢুকে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের দুই কর্মীকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। আজ বুধবার দুপুরে উপজেলার বগা ইউনিয়নের পশ্চিম সাবুপুরা গ্রামে তুলাতলা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জখম হওয়া দুজন হলেন যুবলীগ কর্মী মো. হাসান খান (৩২) ও ছাত্রলীগ কর্মী মো. মারুফ খান (২০)। দুজন বর্তমানে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও বগা ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য মো. সাগর বলেন, বগা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. সোহেলের (৩৫) নেতৃত্বে ৪০-৫০ জনের একটি দল আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে খানবাড়ি এলাকায় বাড়িতে ঢুকে হামলা চালায়।
হামলাকারীরা হাসান ও মারুফকে কুপিয়ে জখম করে চলে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দুজনকে উদ্ধার করে বগা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সেখান থেকে দুজনকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আওয়ামী লীগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী, বর্তমান সংসদ সদস্য ও বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ স ম ফিরোজের সঙ্গে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব হাওলাদারের বিরোধকে কেন্দ্র করে আবদুল মোতালেব ও তাঁর ছেলে বগা ইউপির চেয়ারম্যান মাহামুদ হাসানকে দুই দফায় কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করা হয়েছিল। এবার সংসদ নির্বাচনে আ স ম ফিরোজ দলীয় মনোনয়ন পাওয়ায় তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা বগা এলাকায় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালান। সেই প্রভাবেই এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। আহত হাসান ও মারুফ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেবের সমর্থক।
হামলার বিষয়ে ইউপি সদস্য মো. সোহেল বলেন, তিনি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তা তিনি জানেন না।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শোনিত কুমার গাইন বলেন, পূর্ববিরোধের জেরে মারামারির ঘটনাটি ঘটেছে। আহত দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।