পঞ্চগড়ে যুবদল নেতার বাড়িতে গিয়ে পুলিশ পরিচয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ স্ত্রীর

পঞ্চগড় জেলার মানচিত্র

সরকারবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় থাকায় পঞ্চগড় জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামানকে (বাবু) পুলিশ পরিচয়ে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁর স্ত্রী ইতি আক্তার।

ইতি আক্তার মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘২৩ ডিসেম্বর রাতে আমাদের বাড়িতে পুলিশের ১৮ থেকে ২০ জন লোক আসেন। এঁদের মধ্যে একজনের গায়ে পুলিশের পোশাক ছিল। অন্যরা সাদা পোশাকে ছিলেন। তাঁদের কাউকেই আমি চিনি না। তাঁরা এসে আমাদের নানা রকম হুমকি–ধমকি দেন। এরপর বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) দিনের বেলা এসে কয়েকজন এসেছিলেন, তাঁরা সবাই পুলিশের পোশাকে ছিলেন। তবে তাঁদের কারও নাম আমি দেখিনি। তাঁরা এসে ওকে (নুরুজ্জামান বাবুকে) পাচ্ছিল না, তখন প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। আমার স্বামী কোথায় আছে, আমি জানি না। তাঁর ফোনটাও তিনি বাড়িতে রেখে গেছেন। আমরা তাঁকে নিয়ে খুবই চিন্তিত। আমরা পুরো পরিবার এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’

অভিযোগের বিষয়ে পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, নুরুজ্জামানের স্ত্রী যে অভিযোগ করেছেন, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। পুলিশকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য ও পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য এ ধরনের অভিযোগ করেছেন। পুলিশের কাজ হচ্ছে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া। রাজনীতি একেকজন একেকটা করতে পারে। রাজনীতি একজন করলে কেন তাঁকে জানে মারতে চাইবে পুলিশ।

পুলিশ সুপার জানান, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দিন একটি মশালমিছিল থেকে জানমালের ক্ষতির জন্য মশাল ছুড়ে মারা হয়। সেটার একটি মামলা হয়েছিল। সেই মামলার সন্দেহভাজন আসামি নুরুজ্জামান। তবে কয়েক দিন আগে সদর থানার আক্কেল আলী নামের একজন উপপরিদর্শকের সঙ্গে রাস্তায় নুরুজ্জামানের বাবার সঙ্গে দেখা হয়েছিল। এ সময় ওই উপপরিদর্শক নুরুজ্জামানের বাবাকে তাঁর ছেলে যেন এসব না করে, সে জন্য অনুরোধ করেছিলেন।