এক যুগ পর অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি পেল বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগ

রইজ আহমেদ ও আরিফুর রহমান
ছবি: সংগৃহীত

এক যুগ পর অবশেষে বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। ৩২ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে আগামী তিন মাসের জন্য।

সংগঠন সূত্র জানায়, সর্বশেষ ২০১১ সালে বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। এতে জসীম উদ্দিনকে সভাপতি, অসীম দেওয়ানকে সাধারণ সম্পাদক ও তৌসিক আহম্মেদকে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। এক বছর মেয়াদি ওই কমিটি মহানগর ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে পারেনি। গত বছরের ২৫ মে ওই তিনজনের কমিটিও বিলুপ্ত করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এর পর থেকে মহানগর ছাত্রলীগ চলছিল কোনো রকম কমিটি ছাড়াই।

নতুন ৩২ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদনের কথা জানিয়ে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় গতকাল গভীর রাতে তাঁর ফেসবুক পেজে কমিটির তালিকা প্রকাশ করেন। সংগঠনের প্যাডে এই অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির অনুমোদন দিয়ে সই করেছেন সভাপতি নাহিয়ান খান ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। এতে আগামী তিন মাসের জন্য এই কমিটিকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। কমিটিতে রইজ আহমেদ ওরফে মান্নাকে আহ্বায়ক, মো. মাইনুল ইসলাম ও আরিফুর রহমানকে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে।

সংগঠন সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ২৫ মে দলীয় শৃঙ্খলাপরিপন্থী কাজের অভিযোগে বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি জসীম উদ্দিনকে অব্যাহতি দেওয়ার পাশাপাশি মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। ওই সময়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ওই কমিটি বিলুপ্ত করে।

ওই সময় বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক সংগঠনের শৃঙ্খলাপরিপন্থী কাজের অভিযোগে বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি জসীম উদ্দিনকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। একই সঙ্গে বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্তি করা হয়েছে।

জানা যায়, ওই বছরের ২০ এপ্রিল বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি জসীম উদ্দিনের বিরুদ্ধে এক তরুণী ধর্ষণের অভিযোগ তুলে বরিশাল বিমানবন্দর থানায় মামলা করেন। এই মামলার পর থেকে জসীম রাজনীতি থেকে দূরে আছেন। এর আগে ২০১৭ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অসীম দেওয়ান নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানায় এক তরুণীকে অপহরণ ও অস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। পরে জামিনে মুক্তি পান। ঘটনার পর থেকে তাঁকে আর বরিশালে দেখা যায়নি বলে জানান দলের নেতা-কর্মীরা। ওই কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক তৌসিক আহম্মেদ ওরফে রাহাত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্টোর অফিসার পদে চাকরির সুবাদে রাজনীতি থেকে বিদায় নেন অনেক আগে।

সংগঠন সূত্র জানায়, ২০১১ সালে বরিশালে সর্বশেষ মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল।

নতুন ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন ফয়সাল বারি নয়ন, কিসমত শাহারিয়ার হাসান, হাছিবুর রহমান, মাহাবুর হাসান, ইয়াসিন আরাফাত, মো. সাইফুল ইসলাম, মো. আফজাল হোসেন, রাশেদুল ইসলাম, আকাশ শিকদার, মো. রোমান হাওলাদার, মো. সিরাজুল ইসলাম, আরিফুর রহমান, আহাম্মেদ রেদওয়ান, সাজ্জাদ আহাম্মেদ, মো. মিরাজুল ইসলাম, মো. আল-আমিন, মো. শাওন রাব্বি, জামাশেদ আল ফাতাহ, শেখ তৌহিদুল ইসলাম, সাগর দেবনাথ, রিয়াজ মল্লিক, তৌহিদুল ইসলাম, জয় মালি, রাফিজুল সান, হান্নান মল্লিক, পারভেজ সিকদার, মো. ইমন রহমান সিকদার, ফয়সাল বিন জাবেদ ও মাহাফুজুর রহমান।