বগুড়ায় প্রকাশ্যে দিবালোকে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা
বগুড়ায় প্রকাশ্যে দিবালোকে আজহারুল ইসলাম ওরফে শান্ত (২৫) নামের একজন ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
আজ শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে বগুড়া শহরের চকফরিদ কলোনি এলাকায় অগ্রণী ব্যাংকসংলগ্ন এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে।
হত্যাকাণ্ডের শিকার আজহারুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে বগুড়া শহরের ফুলদীঘি এলাকায় বসবাস করতেন। তিনি সারিয়াকান্দি উপজেলার সাহাপাড়া গ্রামের আবুল হোসেন আলীর ছেলে। ব্রডব্রেন্ড ইন্টারনেট ব্যবসার পাশাপাশি বগুড়ার সৈয়দ আহম্মেদ কলেজে স্নাতকে পড়াশোনাও করতেন তিনি।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, বিকেলে আজহারুল ইসলাম তাঁর বন্ধু মোস্তাকিমকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলে চকফরিদ এলাকায় যাচ্ছিলেন। কলোনি অগ্রণী ব্যাংকসংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে অটোরিকশায় আসা ৭ থেকে ৮ জন দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। এ সময় মোস্তাকিম মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে গেলে দুর্বৃত্তরা আজহারুলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যপুরি কুপিয়ে আহত করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। স্থানীয় লোকজন আজহারুলকে উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউল রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
আজহারুল ইসলামের ভাই হাসিবুল ইসলাম বলেন, চার ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট ছিলেন আজহারুল। কয়েক বছর ধরে শহরের কলোনী, ফুলতলা, চকফরিদসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় ব্রডব্যান্ডের ব্যবসা করছিলেন তিনি। চকফরিদ এলাকার একটি মেসে নিয়মিত আড্ডা দিতেন। শনিবার বিকেলে বন্ধু মোস্তাকিমকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তরা হামলা করে তাঁর ওপর।
হাসিবুল ইসলাম আরও বলেন, চাঁদা চাওয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কয়েকজন যুবকের সঙ্গে বিরোধ ছিল আজহারুলের। সেই বিরোধের জেরেই পূর্বপরিকল্পিতভাবে আজহারুলের ওপর হামলা চালিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনা ছায়া তদন্ত করছেন নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের এমন একজন কর্মকর্তা বলেন, তিন কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ব্রডব্রেন্ড ব্যবসা নিয়ে স্থানীয় একটি পক্ষের সঙ্গে বিরোধ, ব্যবসার চাঁদাবাজি এবং মাদক ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইহান ওলিউল্লাহ, প্রথম আলোকে বলেন, আজহারুল ব্রডব্রেন্ড ইন্টারনেট ব্যবসা করতেন। তবে থানায় তাঁর নামে মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে চারটি মামলা আছে। কী কারণে কারা তাঁকে নৃশংস্যভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে, হতাখাণ্ডে কারা জড়িত, সেটা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ ঘটনায় এখনো থানায় মামলা হয়নি। কাউকে আটকও করা হয়নি।