যেভাবে একটি গাছ বাঁচিয়ে দিল ২২ যাত্রীর প্রাণ

দুর্ঘটনায় পড়া বাস ও প্রাইভেট কার। আজ সকালে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কেপ্রথম আলো

বৃষ্টির কারণে মহাসড়কে ধীরে চলছিল একটি প্রাইভেট কার। হঠাৎ এনা পরিবহনের একটি বাস দ্রুতগতিতে এসে কারটিকে ধাক্কা দেয়। এতে প্রাইভেট কারটি খাদে পড়ে যায়। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটিও খাদের দিকে এগোচ্ছিল। তবে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে সেটি আটকে যায়। এতে প্রাণে বেঁচে যান বাসের ২২ যাত্রী। তবে উভয় গাড়িতে থাকা দুই যাত্রী গুরুতর আহত হন। আহত দুজনকে হাইওয়ে পুলিশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে উপজেলার বড় কুমিরা এলাকায় চট্টগ্রামমুখী লেনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে আহত ব্যক্তিদের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, বাসটিতে যাত্রীসহ সব মিলিয়ে ২২ ও ব্যক্তিগত কারে ৪ জন যাত্রী ছিলেন।

বার আউলিয়া হাইওয়ে পুলিশের সহকারী ট্রাফিক উপপরিদর্শক (এটিএসআই) শাহিন আলম প্রথম আলোকে বলেন, বৃষ্টির কারণে একটি প্রাইভেট কার ধীরে ধীরে চলছিল। এ সময় এনা পরিবহনের বাসটি দ্রুতগতিতে এসে পেছন থেকে কারটিকে ধাক্কা দেয়। প্রাইভেট কারটি দুমড়েমুচড়ে মহাসড়ক থেকে খাদে পড়ে যায়। বাসটি মহাসড়কের পাশে থাকা একটি গাছের সঙ্গে আটকে যায়। যে কারণে বাসটি খাদে পড়ে যাওয়া থেকে আটকে যায়। ফলে যাত্রীরা প্রাণে বেঁচে যান। এতে বাস ও প্রাইভেট কারের সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। তবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় গাছটি।

শাহিন আলম বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠান। পরে দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও প্রাইভেট কার উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। মূলত মহাসড়কের পাশে থাকা গাছের কারণে বাসটি রক্ষা পায়। যাত্রীরা প্রাণে বেঁচে যান। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।