কেরানীগঞ্জে ঝোপের ভেতর থেকে অটোরিকশাচালকের কবজি কাটা লাশ উদ্ধার

মরদেহ
প্রতীকী ছবি

ঢাকার কেরানীগঞ্জে গলায় গামছা প্যাঁচানো ও এক হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন অবস্থায় এক অটোরিকশাচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার বেলা তিনটার দিকে কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন শাক্তা ইউনিয়নের নরুন্ডি এলাকায় কিংস্টার হাউজিং প্রকল্পের ঝোপের ভেতর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত ব্যক্তির নাম জাকির ভূঁইয়া (২৫)। তিনি মাদারীপুর সদর থানার আবদুল জলিল ভূঁইয়ার ছেলে। পরিবার–পরিজন নিয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন শাক্তা ইউনিয়নের নরুন্ডি এলাকায় বসবাস করতেন জাকির। মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে বাসা থেকে বের হন তিনি। এর পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন।

জলিল ভূঁইয়া বলেন, ‘আজ বুধবার দুপুরে লোকমুখে জানতে পারি, আমার ছেলের লাশ কিংস্টার হাউজিং প্রকল্পের ঝোপের মধ্যে পড়ে আছে। তাৎক্ষণিক সেখানে গিয়ে দেখি ছেলের লাশের হাতের ডান হাতের কবজি নেই। গলায় গামছা প্যাঁচানো অবস্থায় ছিল।’

দুই সপ্তাহ আগে একটি ঝগড়ার জের ধরে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করছেন জলিল। তিনি বলেন, ‘দুই সপ্তাহ আগে উজ্জ্বল নামের এক যুবকের সঙ্গে আমার ছেলের ঝগড়া ও হাতাহাতি হয়। ওই সময় রাগের মাথায় আমার ছেলে উজ্জ্বলের হাতে কেঁচি ছুড়ে মারে। সেদিন উজ্জ্বল লোকজন নিয়ে আমাদের বাড়িতে এসে হুমকি দিয়ে বলে যায়, “যে হাত দিয়ে তোর ছেলে আমার দিকে কেঁচি ছুড়ে মেরেছে, সেই হাত কেটে তাকে আমি মেরে ফেলব।” এই কয় দিনের মধ্যেই আমি আমার ছেলের কবজি কাটা লাশ পেলাম। যে বা যারা আমার ছেলেকে এমন নৃশংসভাবে হত্যা করেছে, আমি তাদের ফাঁসি চাই।’

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইলিয়াস হোসেন বলেন, জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ খবর পেয়ে ওই অটোরিকশাচালকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতদেহের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।