৪০ দিন পর প্রকাশ্যে চট্টগ্রাম বিএনপির নেতা-কর্মীরা

মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দেন নগর বিএনপির আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন। আজ বেলা ১১টায় নগরের প্রেস ক্লাব চত্বরেছবি জুয়েল শীল

৪০ দিন পর প্রকাশ্যে মাঠে নেমেছেন চট্টগ্রাম বিএনপির নেতা-কর্মীরা। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেন তাঁরা।

বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ, চট্টগ্রাম শাখা ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে এই মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে। এ সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের চট্টগ্রাম শাখার আহ্বায়ক জাহিদুল করিম।

কর্মসূচিতে অংশ নিতে নেতা-কর্মীরা সকাল সাড়ে ১০টা থেকে জড়ো হতে শুরু করেন। প্রেসক্লাবের সামনের সড়কের অর্ধেক অংশে অবস্থান নেন নেতা-কর্মীরা। আশপাশে সতর্ক অবস্থানে ছিল পুলিশ।

সমাবেশ ও মানববন্ধন উপলক্ষে প্রেস ক্লাবের সামনে জড়ো হন বিএনপির নেতা–কর্মীরা। আজ বেলা ১১টায়
ছবি: জুয়েল শীল

মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন নগর বিএনপির আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ, ইয়াছিন চৌধুরী, আবদুস সাত্তার, কাজী বেলাল ও এম এ মান্নান, নগর মহিলা দলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম, নগর বিএনপি দপ্তরের দায়িত্বে থাকা ইদ্রিস আলী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বেলায়েত হোসেন, নুরুল আমিন প্রমুখ।

গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশের পর থেকে ঝটিকা মিছিলের মাধ্যমে হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি পালন করে আসছে চট্টগ্রাম বিএনপি। আন্দোলনের কঠোর কোনো কর্মসূচি পালন করতে পারেননি তাঁরা। তবে নেতা-কর্মীদের দাবি, পুলিশি ধরপাকড়ের কারণে তাঁরা রাস্তায় নামতে পারেননি। গ্রেপ্তার এড়াতে কৌশল হিসেবে নেতা-কর্মীরা ঝটিকা মিছিল করে কর্মসূচি অব্যাহত রাখেন। ২৮ অক্টোবরের পর থেকে চট্টগ্রাম বিএনপির প্রায় ১ হাজার ২০০ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হন।

সমাবেশ ও মানববন্ধন উপলক্ষে প্রেস ক্লাবের সামনে জড়ো হন বিএনপির নেতা–কর্মীরা। আজ বেলা ১১টায়
ছবি: জুয়েল শীল

আজকের মানববন্ধন কর্মসূচিতে নগর বিএনপির আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন বলেন, ২৮ অক্টোবরের পর থেকে সারা দেশে বিএনপির ২০ হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিএনপির নেতা-কর্মীদের কেউ বাসায় থাকতে পারছেন না। নামতে পারছেন না রাস্তায়। মানুষের কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছে সরকার। বিএনপি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ভাত ও ভোটের অধিকারের কথা বলছে, এটাই অপরাধ।
তিনি আরও বলেন, এই প্রহসনের নির্বাচন বাতিল করতে হবে। ইলেকশনের নামে সিলেকশন হতে পারে না।