পদ্মায় দুই স্পিডবোটের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১

লাশ
প্রতীকী ছবি

ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে পদ্মা নদীতে দুই স্পিডবোটের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন ঝাউকান্দা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ওই ব্যক্তির নাম সুকুমার হালদার (৬৫)। তিনি ফরিদপুরের গাহু লক্ষ্মীপুর এলাকার বাসিন্দা শিরিশ হালদারের ছেলে। এ ঘটনায় মতিউর রহমান নামের একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়েছে।

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন এলাকার বাসিন্দা ইমরান হোসেন (২৭) বলেন, গতকাল শনিবার সুকুমারসহ তাঁরা কয়েকজন মিলে ফরিদপুর থেকে ঢাকার দোহারের নূরুল্লাহপুর এলাকায় ঐতিহ্যবাহী মেলা দেখতে এসেছিলেন। গতকাল সারা রাত তাঁরা মেলায় ঘোরাঘুরি করেন।

পুলিশ ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সকাল ১০টার দিকে সুকুমারসহ অন্তত ১০ জন দোহারের মৈনটঘাট থেকে স্পিডবোটে ফরিদপুরে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। পথে স্পিডবোটটি ফরিদপুরের চরভদ্রাসন ঝাউকান্দা এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিত থেকে আসা একটি স্পিডবোটের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় দুটি স্পিডবোট উল্টে গেলে সেখানকার যাত্রীরা সবাই পানিতে তলিয়ে যান।

তৎক্ষণাৎ স্থানীয় অপর একটি স্পিডবোট ও স্থানীয় জেলেরা দুই স্পিডবোটের যাত্রীদের উদ্ধার করেন। এ সময় মতিউর ও সুকুমারকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক সুকুমারকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে মতিউরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।

ইমরান হোসেন বলেন, ‘স্পিডবোটে জীবন রক্ষকারী কোনো সরঞ্জাম ছিল না। স্পিডবোটের চালক তাঁদের লাইফ জ্যাকেটও দেননি। লাইফ জ্যাকেট থাকলে হয়তো এমন মর্মান্তিক পরিণতি হতো না বলে মনে করেন তিনি।

দোহার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজহারুল ইসলাম বলেন, পদ্মা নদীতে দুটি স্পিডবোটের মুখোমুখি সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তবে দুই স্পিডবোটের কোনো যাত্রী নিখোঁজ আছে কি না, সে বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেননি তিনি।