প্রিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন কি সত্যি হবে না

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি টাকা জোগাড় করতে পারেনি ময়মনসিংহের গৌরীপুরের প্রিয়া রানী দাস।
ছবি: প্রথম আলো

তিন ভাইবোনের সংসার। বাবার আয় খুব সামান্য। তাই এসএসসি পাসের আগে থেকেই টিউশনি করাতেন প্রিয়া রানী দাস। টিউশনি করে নিজের পড়ার খরচ জোগানো মেয়েটি এবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। তবে টাকার অভাবে ভর্তি হতে পারছেন না তিনি।

প্রিয়ার বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌর শহরের কালীপুর এলাকায়। টিনের জরাজীর্ণ ভাড়া বাড়িতে থাকেন। প্রিয়ার বাবা দিলীপ দাসের আয়রোজগার নেই বললেই চলে। তিনি বলেন, বিনা বেতনে পত্রিকার জন্য কাজের পাশাপাশি আগে টিউশনি করতেন। এখন বয়স হয়ে যাওয়ায় এবং স্কুল-কলেজের সিলেবাসে ব্যাপক পরিবর্তন আসায় তাঁর পক্ষে আর টিউশনি করা সম্ভব হয় না। মেয়ের স্বপ্ন পূরণে বাবা হিসেবে কিছু করতে না পারার বিষয়টি তাঁকে কষ্ট দিচ্ছে।

প্রিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘আগামীকাল বৃহস্পতিবারের মধ্যে ভর্তির জন্য টাকা জমা দিতে হবে। আমার পরিবারের পক্ষে এই টাকা জোগাড় করে দেওয়া সম্ভব নয়। টাকার অভাবে শেষ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির স্বপ্ন পূরণ হয় কি না, তা নিয়ে সংশয়ে আছি।’

২০১৯ সালে গৌরীপুর পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৪.৩৯ এবং ২০২১ সালে গৌরীপুর সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৪.০০ পেয়ে উত্তীর্ণ হন প্রিয়া। গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন তিনি।

গৌরীপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মিলটন ভট্টাচার্য বলেন, প্রিয়া এই কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছেন। তাঁর পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুব খারাপ। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির টাকা জোগাড় করতে পারেনি তাঁর পরিবার।