সংঘর্ষে পুলিশ সদস্যসহ আহত ২০

গোপালগঞ্জ জেলার মানচিত্র

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ফলাফল বাতিলের দাবিতে সোমবার সন্ধ্যায় পরাজিত তিন ইউপি সদস্য প্রার্থীর সমর্থকেরা নির্বাচনী মালামাল (ইভিএম মেশিন) আটকে দেন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাঁদের সংঘর্ষ হয়।

সংঘর্ষে গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাবেদ মাসুদসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১০ সদস্যসহ অন্তত ২৫ জন আহত হন। এর মধ্যে পুলিশের গুলিতে আহত হন অন্তত তিনজন। এ ঘটনায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং ওসির গাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে চারজন সদস্য প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ওই চারজন হলেন সাবু মোল্লা, পলু মোল্লা, মতিয়ার রহমান ফকির ও ইব্রাহিম কাজী। নির্বাচনী ফলাফলে সদস্য প্রার্থী সাবু মোল্লাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

নির্বাচনী মালামাল নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচনী কর্মকর্তারা জেলা সদরে ফেরার সময় পরাজিত অপর তিন প্রার্থী মতিয়ার রহমান ফকির, পলু মোল্লা ও ইব্রাহিম কাজী নির্বাচন বাতিলের দাবি জানিয়ে তাঁদের সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে হামলা চালিয়ে নির্বাচনী মালামাল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালান। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হলে পুলিশ শটগানের গুলি চালায়। এতে সদর থানার ওসি মো. জাবেদ মাসুদ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ সদস্যসহ আহত হন অন্তত ২৫ জন। এর মধ্যে পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছে অন্তত তিনজন।

আহত ব্যক্তিরা হলেন সদর থানার ওসি মো. জাবেদ মাসুদ, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) নাজমুল আলম, এএসআই আসাদুজ্জামান, পুলিশ সদস্য রোকন মিয়া, মুস্তাফিজুর রহমান, পারভেজ, ২৩ আনসার ব্যাটালিয়নের সহকারী প্লাটুন কমান্ডার মো. হায়দার আলী, আনসার সদস্য সবুজ বালা, শাওন বিশ্বাস, লক্ষ্মী বিশ্বাস, সহকারী কমিশনারের (ভূমি) গাড়িচালক ইব্রাহিম শরীফ, গুলিবিদ্ধ কালাম শেখ, ইয়াসিন শেখ ও সম্রাট মোল্লা।

ওসি মো. জাবেদ মাসুদ বলেন, পরিস্থিতি এখন তাঁদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় খাইরুল কাজী ও কালাম শেখ নামের দুজনকে আটক করা হয়েছে।