শেখ হাসিনার বিচার দাবিতে চট্টগ্রামে অনশনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাসেলসহ অন্যরা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য রাসেল আহমেদসহ অন্যরা অনশন করছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম নগরের জামালখান এলাকায় প্রেসক্লাবের সামনেছবি: জুয়েল শীল

গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ জড়িত সবার বিচার দাবিতে অনশন করছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য রাসেল আহমেদ। তাঁর সঙ্গে এই অনশনে যোগ দিয়েছেন সংগঠনের আরও অন্তত ২৫ থেকে ৩০ জন।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম নগরের জামালখান এলাকায় প্রেসক্লাবের সামনে রাসেলসহ অন্যরা অনশন শুরু করেন। পরে তাঁরা প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে অবস্থান নেন। বেলা ১টা ২০ মিনিটে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অনশন চলছিল।

অনশন শুরুর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে বেশ কিছু দাবি তুলে ধরা হয়।

বিক্ষোভ সমাবেশের একপর্যায়ে বক্তব্য দেন রাসেল। তিনি বলেন, অভ্যুত্থানের ছয় মাস পরও তাঁদের রাস্তায় নামতে হচ্ছে। শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের লোকজনের বিচারে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ তাঁরা দেখেননি। হামলা ও হত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ সবার বিচার করতে হবে। বিচারের দাবিতে তিনি অনশনে বসছেন।

এরপরই অনশনে বসেন রাসেলসহ অন্যরা। অনশনকারীদের অন্যতম দাবি, শেখ হাসিনাসহ পালিয়ে যাওয়া সবাইকে দেশে ফিরিয়ে এনে হত্যার ঘটনায় বিচার করতে হবে। বিচারের ক্ষেত্রে যতক্ষণ দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া না হবে, বিচারের বিষয়ে আশ্বস্ত করা না হবে, ততক্ষণ অনশনে থাকবেন তাঁরা।

অনশনকারীদের অন্য দাবিগুলো হলো—দ্রুত বিচার আইনে বিভাগীয় ট্রাইব্যুনাল গঠন করে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডে জড়িত ও উসকানিদাতাদের গ্রেপ্তার-বিচার করতে হবে। শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত এনে বিচার করতে হবে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র রাষ্ট্রীয়ভাবে ঘোষণা করতে হবে। সব হত্যা, গুম, খুন, ধর্ষণ, অপরাধ ও নির্যাতনের বিচার করতে হবে। আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। আওয়ামী লীগ নেতাদের অবৈধভাবে অর্জিত সব অর্থ ও সম্পদ রাষ্ট্রীয়ভাবে বাজেয়াপ্ত করতে হবে। বিদেশে পাচার করা অর্থ ফেরত আনতে হবে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে শহীদ পরিবার ও আহত ব৵ক্তিদের জীবনের দায়িত্ব রাষ্ট্রকে গ্রহণ করতে হবে। নতুন সংবিধান প্রণয়ন করাসহ রাষ্ট্রের যাবতীয় গণতান্ত্রিক সংস্কারের রূপরেখা প্রদান করতে হবে।