আলী হায়দার
ছবি: সংগৃহীত

বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান কারাগারে থাকায় জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আলী হায়দার ওরফে বাবুলকে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। রোববার দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বরিশাল মহানগর বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত জাহিদুর রহমান সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, মহানগর আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান কারাগারে থাকায় চলমান আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আলী হায়দারকে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

দলীয় সূত্র জানায়, ১ নভেম্বর অবরোধের প্রথম দিন নগরের নবগ্রাম এলাকায় অবরোধের পক্ষে মিছিল করার সময় পুলিশের হাতে আটক হন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান। ওই দিন একই সময়ে নগরের সিঅ্যান্ডবি সড়কে মিছিল করতে গিয়ে আটক হন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস আক্তার জাহান, মহানগর বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আলী হায়দার, সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য কাজী ফিরোজ আলম, দক্ষিণ জেলা যুবদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক সাকলাইন মোস্তাকসহ ১৫ নেতা-কর্মী। এ ঘটনায় ওই দিন বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক খোকন চন্দ্র বাদী হয়ে নাশকতার অভিযোগে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

৯ নভেম্বর বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ওই ১৫ নেতা-কর্মীর জামিনের আবেদন করা হলে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস আক্তার জাহান, মহানগর বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আলী হায়দার, সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য কাজী ফিরোজ আলম ও দক্ষিণ জেলা যুবদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক সাকলাইন মোস্তাককে আদালতের বিচারক কে এম রাশেদুজ্জামান রাজা জামিন দেন। কিন্তু মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খানসহ বাকি ১১ জনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করা হয়।

বিএনপির নেতা জাহিদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বরিশালে ইতিমধ্যে বিএনপির অসংখ্য নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দমন-পীড়ন চালিয়ে চলমান আন্দোলনকে স্তিমিত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। কিন্তু বিএনপির একজন নেতা-কর্মী বাইরে থাকলে চলমান এক দফার আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।