দিনাজপুরে কৃষক এক কেজি মুলা বিক্রি করছেন আড়াই টাকায়

দিনাজপুরের বিরামপুর পৌর শহরের পুরাতন বাজারে মুলাচাষিরা পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে প্রতি মণ মুলা ১০০ টাকায় বিক্রি করছেনছবি: প্রথম আলো

দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় কৃষক এখন আড়াই টাকা কেজিতে মুলা বিক্রি করছেন। মুলার উৎপাদন ভালো হওয়ায় এবং পাইকারি ও খুচরা বাজারে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় কৃষককে এই দামে মুলা বিক্রি করতে হচ্ছে। খুচরা বাজারে ক্রেতাকে প্রতি কেজি মুলা ৬ থেকে ৮ টাকায় কিনতে হচ্ছে।

গতকাল শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পৌর শহরের পুরাতন বাজারে মুলাচাষিরা পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে প্রতি মণ মুলা ১০০ টাকায় বিক্রি করছেন। সেই হিসাবে কৃষক এক কেজি মুলা বিক্রি করে আড়াই টাকা পাচ্ছেন।

গতকাল সকালে পৌর শহরের সবজির পাইকারি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার মাহমুদপুর, হাবিবপুর, সারাঙ্গপুর, চক বসন্ত, ভেলারপাড়, মুকুন্দপুর, ফকিরপাড়া, ভবানীপুর, মিরপুর, জোতজয়রাম, প্রস্তুমপুর ও পলিপ্রয়াগপুর থেকে ভ্যান, ইজিবাইক ও সাইকেলে করে বস্তাভর্তি মুলা পাইকারি বাজারে আনেন মুলাচাষিরা। গত সপ্তাহের শুরুর দিকে সবজির পাইকারি বাজারে প্রতি মণ মুলা ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এখন সেই মুলার দাম কমেছে, প্রতি মণ ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পৌরসভার সারঙ্গপুর গ্রামের মুলাচাষি শহিদুল ইসলাম বিরামপুরের পাইকারি বাজারে ৩ মণ মুলা এনেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, এ বছর বেশির ভাগ কৃষকই তাঁদের জমিতে মুলা আবাদ করেছেন। ফলনও অনেক ভালো হয়েছে। এ জন্য বাজারে মুলার সরবরাহ বেড়েছে। তিনি ৩ মণ মুলা ৩০০ টাকায় বিক্রি করেছেন।

আরেক মুলাচাষি মাহমুদপুর গ্রামের আবদুল গাফফার বলেন, মুলা আবাদ করতে জমি চাষ, বীজ, সার ও পরিবহন বাবদ অনেক খরচ হয়েছে। ভ্যানভাড়া দিয়ে সেই মুলা বাজারে এনে পানির দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

বিরামপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম ইলিয়াস বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ১ হাজার ২৮০ হেক্টর জমিতে সবজির আবাদ হয়েছে। দেশে চলমান রাজনৈতিক হরতাল-অবরোধের কারণে এলাকার উৎপাদিত মুলা জেলার বাইরে যাচ্ছে না। এ কারণে স্থানীয় বাজারে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম অনেক কমে গেছে।