মারধরের ভিডিও ভাইরাল, অভিযুক্তকে আটকের পর ছিনিয়ে নিলেন স্বজনেরা

মারধর
প্রতীকী ছবি

বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রকাশ্যে এক ব্যক্তিকে মারধরের একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশ মারধরের ঘটনায় জড়িত এক ব্যক্তিকে আটক করে। একপর্যায়ে ওই ব্যক্তিকে হাতকড়াসহ ছিনিয়ে নেন তাঁর স্বজনেরা। সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার মান্নারগাঁও ইউনিয়নের আজমপুর গ্রামে শুক্রবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে পুলিশ বলছে,  হাতকড়া উদ্ধার করা হলেও ছিনিয়ে নেওয়া ব্যক্তিকে আটক করা যায়নি। ওই ব্যক্তিকে আবার আটকের চেষ্টা চলছে।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, আজমপুর গ্রামের বাসিন্দা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ফরহাদ আলম ও আরমিছ আলীর (৪৫) মধ্যে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধ ছিল। শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে এ নিয়ে তর্কাতর্কির পর ফরহাদ আলমের ছেলেরা আরমিছ আলীকে ধরে গ্রামের মাঠে নিয়ে বেধড়ক মারধর করেন।

এই মারধরের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, আরমিছ আলীকে মাটিতে ফেলে তিনজন মিলে লাঠি দিয়ে পেটাচ্ছেন। আরমিছ আলী বাঁচার জন্য চিৎকার করছেন। এরপর তাঁকে মাঠে ফেলে রাখা হয়।

খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে আরমিছ আলীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠায়। পুলিশ এ সময় ফরহাদ আলমের ছেলে তূর্য আলমকে (২২) আটক করে। পরে তাঁর পরিবার ও স্থানীয় লোকজন পুলিশের কাছ থেকে তূর্যকে হাতকড়াসহ ছিনিয়ে নেন।

ফরহাদ আলমের ছেলে কানন আলম বলেন, ‘আরমিছ আলী বিকেলে আমার মাকে গালমন্দ করে। একপর্যায়ে তার পায়ে আঘাত করে। এই খবর পেয়ে আমার চাচাতো ভাইয়েরা তাকে কিলঘুষি মেরেছে। আমিও সেখানে ছিলাম।’

এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিপন কুমার মোদক প্রথম আলোকে বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছিল। পুলিশ গিয়ে একজনকে আটক করে। পরে পুলিশের কাছ থেকে তাঁকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। হাতকড়া উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে।