চাঁপাইনবাবগঞ্জে এবারও পরিপক্ব হলেই আম বাজারে নেওয়া যাবে
চাঁপাইনবাবগঞ্জে এ বছরও ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার থাকছে না। অর্থাৎ আম সংগ্রহ ও বাজারজাতকরণে নির্ধারিত কোনো সময়সূচি থাকছে না। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ মুক্তমঞ্চে এক মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক আবদুস সামাদ এ তথ্য জানান। এ জেলায় গত কয়েক বছর আমের বাজারজাতে কোনো ক্যালেন্ডার নির্ধারণ করা হয়নি।
জেলা প্রশাসন আয়োজিত ওই সভায় জানানো হয়, এখানকার আমচাষিরা গাছে আম পাকতে না দেখলে আম সংগ্রহ ও বাজারজাত করেন না। এটি চাঁপাইনবাবগঞ্জের একটি ঐতিহ্য। ফলে আলাদা করে সময়সূচির প্রয়োজন পড়ে না।
আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের (আম গবেষণা কেন্দ্র) ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন বলেন, এবার অনেক গাছে তিন দফায় মুকুল এসেছে। ফলে আমও পাকবে তিন সময়ে। ফলে নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করা কঠিন। চাষিরা যথাযথ সময়েই আম সংগ্রহ করবেন।
সভায় আমচাষিরা ৫২-৫৪ কেজির পরিবর্তে ৪৫ কেজিকে একটি মানদণ্ড হিসেবে মণ নির্ধারণের দাবি জানান। তাঁরা বলেন, বর্তমানে বাজারে আম বিক্রির ক্ষেত্রে ওজন বেশি ধরা হয়, এতে চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হন। তাঁদের প্রস্তাব, পাকা আমের জন্য ৪২ দশমিক ৫ কেজি ও কাঁচা আমের জন্য ৪৫ কেজিকে মণ হিসেবে নির্ধারণ করা হোক। তাঁরা চান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী ও নওগাঁ জেলায় একইভাবে এই ওজন নির্ধারিত হোক। এ বিষয়ে বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানান তাঁরা।
সভায় আরও বক্তব্য দেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের চাঁপাইনবাবগঞ্জের উপপরিচালক ইয়াছিন আলী, হর্টিকালচার সেন্টারের উপপরিচালক মুঞ্জুরে মওলা, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আফাজ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম সাহিদ, শিবগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত ইউএনও তৌফিক আজিজ, রেলওয়ের পশ্চিম অঞ্চলের কমার্শিয়াল ম্যানেজার আনোয়ার হোসেন, কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মমিনুল হক, কৃষি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মুনজের আলম, ম্যাঙ্গো ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক আহসান হাবীব, ম্যাঙ্গো প্রডিউসার কো-অপারেটিভ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল খান প্রমুখ।